Home আপডেট ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় বাধা, ছাত্রকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল স্কুল

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় বাধা, ছাত্রকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল স্কুল

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় বাধা, ছাত্রকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল স্কুল

[ad_1]

স্কুলের ফি দিতে পারেনি ছাত্র। আর তার জন্য  ছাত্রের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করল স্কুল। চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল। শুধু তাই নয় পরীক্ষায় বসতেও বাধা দেওয়া হল ছাত্রকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে হুগলির তারকেশ্বরের একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত তারকেশ্বর পুরসভার হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হয় এবং ওই পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও স্কুলের তরফে এরকম আচরণের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষের এরকম আচরণে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। বিকাশ ভারতী ব্লুমস ডে নামে একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: বেসরকারি স্কুলের মর্জি মতো ফি আদায় রুখতে কমিশন গঠন করতে চলেছে রাজ্য সরকার

জানা গিয়েছে, স্কুলটি তারকেশ্বর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লী এলাকায় অবস্থিত। স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। অন্যান্য স্কুলের মতো ওই স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। মঙ্গলবার ওই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল ছাত্রটি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্রকে জানানো হয় যেহেতু তার ফি বকেয়া রয়েছে তাই পরীক্ষা দিতে পারবে না। এই বলে ওই ছাত্রকে প্রথমে পরীক্ষা দিতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপরই তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে সরব হয়েছেন অন্যান্য অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য, শুধু শুধু চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রই নয়, তার বোন ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তারও পরীক্ষা চলছে। তাকেও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। একই কারণ দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

এই ঘটনায় ছাত্রের অভিভাবকের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বচসা বাঁধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এরপর খবরের পেয়ে তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডু এবং পুরসভার অন্যান্য পুর প্রতিনিধিরা সেখানে পৌঁছন। তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়। অবশেষে ছাত্রকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, এই ধরনের কোনও কাজ করা হয়নি। শুধুমাত্র ছাত্রের অভিভাবককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যদিও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে এবং আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here