Home ঘুরে আসি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে মনের মানুষকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই ৭ জায়গা থেকে    

ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে মনের মানুষকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই ৭ জায়গা থেকে    

ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে মনের মানুষকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই ৭ জায়গা থেকে    

[ad_1]

ফেব্রুয়ারি মানেই ভালোবাসার মাস। ভালোবাসা মানেই একটু একান্তে সময় কাটানো প্রিয় মানুষটার সঙ্গে। ট্রেনে-প্লেনে-বাসে বহুদূরে না গিয়ে, শহর থেকে কিছুটা দূরে ব্যাগ প্যাক করে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসুন।

১। হেনরিজ আইল্যান্ড-

সমুদ্রের জলের ঢেউ মন ভরিয়ে দেবে আপনার। সাদা বালির সৈকতে বসে দু’জনে উপভোগ করতে পারবেন একান্ত সময়টা। এখানে নেই কোনও পরিচিত ভিড়। কোলাহল থেকে দূরে দু-একটা দিন কাটানোর জন্য দারুণ জায়গা। একদম পকেট ফ্রেন্ডলি খরচায় ঘুরে আসুন দুজনে। কলকাতা থেকে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় লাগে।

২। মৌসুনি দ্বীপ-

মৌসুনি সুন্দরবন ডেল্টার একটি ছোট দ্বীপ। নদীর সঙ্গে সমুদ্রের মিলন। যদিও এখানে পাঁচতারা হোটেলের বিলাসিতা নেই। কিন্তু শান্ত, নিরিবিলি রোমান্টিক পরিবেশে পাবেন একেবারে অন্য অভিজ্ঞতা। সৈকতে সাইকেল চালানো থেকে শুরু করে ভলিবল খেলতে পারবেন। সুন্দর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত মন দিয়ে দু’জনে উপভোগ করতে পারবেন।

৩। শঙ্করপুর-

দিঘা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শঙ্করপুরের দুটি রূপ। একটি নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত। অন্যটি কোলাহলে পরিপূর্ণ মৎস্যবন্দর। বন্দরে সবসময় ছোট, বড়, মাঝারি মাপের ট্রলার এবং জেলে নৌকা দেখতে পাবেন। এছাড়া সমুদ্রে থেকে তুলে আনা টন টন ওজনের মাছ এগুলো দেখে বেশ উপভোগ করতে পারবেন। শঙ্করপুর প্রবেশের ডান দিকে রয়েছে এই মৎস্যবন্দরটি। বাঁ দিকে গেলেই পেয়ে যাবেন নির্জন সমুদ্র সৈকত। সেখানে রয়েছে হাজার হাজার ঝাউগাছের সারি। রয়েছে কেয়া গাছের ঝোপও। এখানে নানা বাজেটের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি  হোটেল পেয়ে যাবেন। কলকাতা থেকে শঙ্করপুর পৌঁছোতে প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক সময় লাগে।

৪। টাকি-

ইছামতি নদীর তীরে কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে টাকি শহরটি অবস্থিত। ইছামতি নদীর অপর পাড়ে বাংলাদেশে রয়েছে।

সুন্দরী, গোলপাতা ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী বিভিন্ন রকম গাছের সমন্বয়ে টাকি পৌরসভার এখানে একটি ছোট সুন্দরবন তৈরি করেছেন। ফেরিঘাট থেকে ফেরি করে অনায়াসে প্রায় ১২৯ একর জমি নিয়ে গঠিত মাছরাঙ্গা দ্বীপটি ঘুরে দেখতে পারবেন। এছাড়াও ১০০ টাকা দিয়ে একটি ভ্যান রিক্সা ভাড়া করে টাকির বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গাগুলি অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবেন।

৫। তাজপুর-

বঙ্গোপসাগরের তীরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত তাজপুর, মন্দারমণি এবং শঙ্করপুর কলকাতা থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে প্রায় ১৪০০ একর জমি নিয়ে মৎস্য চাষের একটি প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে। সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে অত্যন্ত পরিষ্কার বলে এখানে বহু লাল কাঁকড়ার দেখা মেলে।

এই সমুদ্রসৈকতটি একটু অদ্ভুত। এটি দেখতে অনেকটা উল্টো অর্ধচন্দ্রাকৃতির মত। সেই জন্য এখানে আগত পর্যটকরা এই জায়গার প্যানারমিক দৃশ্য দেখতে খুব পছন্দ করেন। সমুদ্রসৈকতে খুঁজে পাবেন বিপুল লাল কাঁকড়া। যেগুলি বালিয়াড়িতে লুকোচুরি খেলে। এদের উপস্থিতি এই সমুদ্রসৈকতকে আরও বেশি রঙিন করে তুলেছে। আশেপাশে রয়েছে জেলেদের গ্রাম, যেখানে গেলে অনায়াসে তাদের জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তাই আর কিছু না ভেবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে মনের মানুষকে নিয়ে ঘুরে আসুন।

৬। মঙ্গলগঞ্জ-

ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে যদি একটু ভৌতিক অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে চান, তাহলে চলে যান বনগাঁ’র বর্ডার এলাকায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ মঙ্গলগঞ্জে। থাকতে পারেন টেন্টে এবং কটেজে। তার সঙ্গে ভুতুড়ে গল্পের জন্যে নীল সাহেবের কুঠি দেখতে যেতেই পারেন। এছাড়া ইছামতির তীরে বসে সময় কাটাতে ভালোই লাগবে। কলকাতা থেকে বাইকে করে অথবা গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন বনগাঁ। সেখান থেকে বিভূতিভূষণ অরণ্যও ঘুরে আসতে পারেন।

৭। রায়চক-

কলকাতা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডায়মন্ড হারবারের একটি ছোট্ট শহর হল রায়চক।

প্রাচীনকালে এখানে একটি দুর্গ ছিল। কিন্তু তা পরে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। পরবর্তীতে গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত রেডিসন দুর্গকে পুনর্নির্মাণ করে একটি পাঁচতারা হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। অ্যাডভেঞ্চারের জন্য রয়েছে রায়চক জেটি বা পার্শ্ববর্তী নুরপুর জেটি। এখান থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কুকড়াহাটি বা হাওড়া জেলার গাদিয়াড়া যাওয়ার জন্য অনায়াসে নদী তীরবর্তী ফেরির সুবিধা পাবেন।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র বিভিন্ন কাহিনী জানতে পড়ুন ।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here