[ad_1]
নির্বাচনের আগেই আবারো ভিসা নীতির কথা মনে করিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র। হুঁশিয়ারি নাকি সাবধান করছে বাংলাদেশকে? অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র স্পেশাল চিঠি পাঠাল আওয়ামী লীগ বিএনপিকে। কি লেখা আছে চিঠিতে? বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানটা ঠিক কি? কোন দলকে বেশি সাপোর্ট করছে? কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে পক্ষপাত করছে না তো? বিষয়টা এবার জলের মতো পরিষ্কার।
নির্বাচনের আগে কোন ঝামেলা চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। স্পষ্ট করেছে নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিলের আগে বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিল যুক্তরাষ্ট্র। চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চিঠিতে মূলত তিনটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র চায় অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, শর্তহীন ভাবে সংলাপে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তৃতীয়ত, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি গ্রহণ করেছে সেটাই আরেকবার মনে করিয়ে দিল চিঠিতে। মনে করালো নাকি সাবধান করল? বাংলাদেশে এখন চলছে রাজনৈতিক সংকট। আর সেখানে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে যারা বাধা দেবে তাদের উপরে ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম থেকেই বলে এসেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কোন পক্ষ নেই। কোন বিশেষ দলকে দেশটা সমর্থন করে না। যুক্তরাষ্ট্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকেই সমর্থন করে। এর আগেও কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলই সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। ওদিকে আবার দেশটার জাতীয় পার্টি অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণ নির্বাচনের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করে রেখেছে। যেহেতু অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে এক টেবিলে বসা হয়নি, তাই প্রকাশ্যে আনেনি।
যুক্তরাষ্ট্র চিঠি তো পাঠিয়ে দিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র মধ্যে আদৌ কি সংলাপের কোন সম্ভাবনা রয়েছে? বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে তীব্র অস্থিরতা। বিএনপি বাংলাদেশ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একের পর এক অবরোধ কর্মসূচি করেই চলেছে। ২০১৪-১৫ সালের মতোই জ্বলছে গাড়ি। বাংলাদেশের রাজপথ জুড়ে হচ্ছে অশান্তি। ডোনাল্ড লুর চিঠির পরেও কিন্তু সংলাপের কোন সম্ভাবনাই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। উল্টে তফসিল ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। আওয়ামী লীগ তাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কে কি বলল সেটাকে গুরুত্ব না নিয়ে নির্বাচনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশটার সংবিধান অনুযায়ী আয়োজন হবে নির্বাচন। বিএনপি কিন্তু এখনো তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে না আসা মানে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি ব্যর্থ। ধরে নেওয়াই যায়, বর্তমানে দেশটা জুড়ে যে অশান্তি চলছে তার কালো ছায়া এখনই যাওয়ার নয়। আপনার কি মনে হয়? কবে থামবে এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি? তফসিল ঘোষণার ঠিক আগের মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি অচলাবস্থার বরফ গলাতে পারবে কি? জানান আপনার মতামত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়