পড়াশোনা, স্কুলের নিয়মমাফিক জীবন অনেক সময় খুবই একঘেয়েমির জন্ম দেয়। বিশেষকরে শিশুর ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও একটু জটিল। রোজ সকালে এক নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে তৈরি হওয়া , গাড়িতে চেপে সময়মতো স্কুলে পৌঁছানো, হোমটাস্ক এর চাপ,ক্লাসটেস্টের প্রেশার, বার্ষিক,অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং ভালো ফলাফলের চাপ এসব মিলিয়েই তৈরি হয় একঘেয়েমি। কিন্তু একবার ভাবুন তো যদি কেউ বলে স্কুলে যাওয়ার র্নিদিষ্ট কোন সময় নেই,হোমটাস্কের কোন চাপ নেই, আলাদা করে ক্লাসরুম বলে কিছুই নেই,যে স্কুলে পড়াশোনা না করলেও দিদিমনিদের বকার ভয় নেই, যেখানে পড়ার থেকে খেলাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কি ভালোই না হবে এরকম স্কুলে পড়াশোনা করতে পারলে। আসুন একনজরে দেখে নিন সেইসব স্কুলের কাহিনী
১. টেলেফোনপ্লান স্কুল, স্টকহোম, সুইডেন
এই স্কুলে আলাদা করে ক্লাসরুম নেই।সমস্ত ছাত্ররাই একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে পড়াশোনা করে।
২. মাকোকো ফ্লোটিং স্কুল,লাগোস, নাইজেরিয়া
জলের উপর ভাসমান অবস্থায় পড়াশোনা করতে পারলে কেমন হয় বলুন তো? হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই বাস্তবে দেখতে পাবেন নাইজেরিয়াতে। সৌরালোক এবং বৃষ্টির জলকে কাজে লাগিয়ে কাঠের তৈরি দোতলা এই স্কুলে পড়াশোনা হয় একেবারে প্রকৃতির কোলে।
৩.ফুজি ইয়োচেন, টোকিও,জাপান
এই স্কুলে বাচ্চাদের জন্য নিয়ম বাচ্চারাই তৈরি করে। জঙ্গলের আদলে তৈরি এই স্কুলের ক্লাসরুমের দেওয়াল তৈরি হয়েছে কেয়াকি গাছের কাঠ দিয়ে।
৪.বোঁ জিনোদ স্কুল,লঁজানে, সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের একমাত্র স্কুল যেখানে ক্লাসরুমের মধ্যে এত আলোর ব্যবহার করা হয়েছে যে বিশ্বের “ব্রাইটেস্ট” স্কুলের মর্যাদা পেয়েছে এই স্কুল।
৫. ম্যাকয়ার উইনিভার্সিটি, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
পুরনো আসবাব পত্র দিয়ে তৈরি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসবাব পত্র গুলি সবই মুভিং।
৬. কিকুমা ওয়াটানাবে, থাইল্যান্ড
বাঁশেরকেল্লা যাকে বলে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন এই স্কুল মূলত বাঁশ দিয়ে তৈরি, মাটির ঘরের উপর ঘাসের ছাউনী দিয়ে তৈরি এই স্কুলে মূলত গরীব ঘরের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে।
৭. গ্লাসগো স্কুল অফ আর্ট, স্কটল্যান্ড
ট্রান্সলুসেন্ট মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি এই স্কুলে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে মূলত ন্যাচারাল আলো দিয়ে।
৮. আবেদিন স্কুল অফ আর্কিটেকচার, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বের একমাত্র স্কুল যেখানে রং বেরঙের আসবাব পত্র ব্যবহার করা হয়েছে ছাত্রদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে।
৯. ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়,ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়াল রং করতে ব্যবহার করা হয়েছে “বোল্ড” রংয়ের।
১০. জিয়াকুন এলিমেন্টারি স্কুল, চীন
ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই স্কুলটি পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছে ধ্বংস প্রাপ্ত মেটেরিয়াল দিয়েই