এক গুচ্ছ কবিতা
জ্যোৎস্না
চাঁদ আজ নাচিয়ে
এই ভালোবাসার উৎসবে,
সেই ক্ষণের ক্ষীন আলোর কণা গুলো
আজ হয়েছে সূর্য্য ——–
সেদিনের মনের বাস্পগুলো
আজ হয়েছে বৃষ্টি ,
সেদিনের ছোটো হাঁটা গুলো
আমায় করেছে পথিক।
স্বীকার
আমি ভালোবাসার বর্ণনায়
নিয়ে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়ি
যদিও আমি চেষ্টা করি
লিখতে ভালোবাসার ভাষা
তখন কেন যে এমন
অসহায় বোধ করি।
বুঝি না ।
রোমন্থন
ডায়েরীর পেটে ঘুমিয়ে থাকে অতীত
থেমে থাকা কলমের শেষ হওয়া —
কালির দাগ।
ঝিম ধরা এক ওলটানো পৃথিবীর তারে
ব্যর্থ মিছিলের কসরত ।——
তণ্ময়তা ভাঙ্গে – তীক্ষ্ণ আওয়াজে ,
জেগে উঠি – ছন্দ ভেঙ্গে
সরু সরু আঙ্গুল খোঁজে – কালির দাগ
কলমটাই ভীষণ ভারী– মনে হয়
কালি যেন – কথাহীন আত্মার শেষ চাওয়া,
আজও জেগে আছে।
ধৈর্য্য
ঝিনুকের খোলসে মেঘ জমিয়ে রেখেছি
সবার জন্য।
সবাই দেখবে বলে , সেও তখন
জল হয়ে আবার বাস্প হবে —–
এই সময় টুকুই তো চাই ——–
তা ও …পাইনা — কাছে আসে, কাঁটা তারের বেড়া ঘেরা কিছু অগোছনো লতা–
ব্যাঙ্গমা – ব্যাঙ্গমিদের বাড়ীতে তখন কাছে –আসার উৎসব – সামিল হতে
চলে যাই বেসামাল টানে।
এখন প্রলাপ
ওরা সব শ্লোগান মুখর
চাই রাজ্যের ধ্বজা ধরা
সংঘবদ্ধ এক কঠিন আশার
অপেক্ষায় । আশার সম্ভাবতায় —-
আমি দিশাহারা —–
নৈরাজ্যের বাসীন্দা হয়ে ,
রাজ্য খুঁজি — যেখানে
সংঘবদ্ধতার দোলনায়– গোষ্ঠিপতির নিরলস চাওয়া নিশ্চিত । নাগপাশ মুক্ত চলনে ।
সাবলীলতার আঁতুড় ঘরে সমতারা হেঁটে আসে । তাই যাব ।
পূর্ব মেঘ
এই প্রথম বৃষ্টি – আষাঢে মেঘদূত লেখার আগে –
যক্ষ পূরীর বাসীন্দারা – আশাহত,
শান্তি পেল— অপেক্ষমান প্রেমিকরা
হতে চাওয়া , মানুষেরা –
ততক্ষুন না হয় লেখা বন্ধ করে –
একটু ভাবি
অম্লান রায় চৌধূরী