Home আপডেট Ayushman Bharat:কেন্দ্রের বিধি না মানার অভিযোগ, বরাদ্দ বন্ধের শঙ্কা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনে

Ayushman Bharat:কেন্দ্রের বিধি না মানার অভিযোগ, বরাদ্দ বন্ধের শঙ্কা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনে

Ayushman Bharat:কেন্দ্রের বিধি না মানার অভিযোগ, বরাদ্দ বন্ধের শঙ্কা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনে

[ad_1]

কেন্দ্রের বিধি মেনে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রকল্পের ‘ব্র্যান্ডিং’ করছে না রাজ্য। তাই এ বার বন্ধ হতে পারে এই প্রকল্পের বরাদ্দও। চলতি মাসেই স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা চিঠি দিয়ে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদি কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে তবে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন আশাকর্মীরা। আটকে যেতে পারে তাদের ভাতা।

এর আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বিধি না মানার অভিযোগ উঠেছিল। এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই অভিযোগ তোলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। নবান্ন সূত্রে খবর, সমস্যাটি বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল। কেন্দ্রের অনুদানের ভিত্তিতে ‘আয়ুষ্মান ভারত-হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ চালু করা হয়েছে প্রাথমিক এবং ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য। কিন্তু রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা এই ‘আয়ুষ্মান ভারত-হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ গুলি ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ হিসাবে চালাচ্ছে।

এই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে একটি আলোচনাও হয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। রাজ্য ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’-এর সঙ্গে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ কথাটি জুড়তে রাজি ছিল। কিন্তু ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কথাটি যুক্ত করা হয়নি। এছাড়া এই কেন্দ্রগুলির জন্য রং নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল তা ব্যবহার করা হয়নি। রাজ্যের নীল-সাদা রং করে করে ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’গুলিতে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩ নভেম্বর একটি চিঠি স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা নেহা গর্গ। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে লেখা এই চিঠিতে তিনি জানিয়ে দেন, গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় ‘আয়ুষ্মান ভারত-হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’-এর অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি চিঠিতে আরও লিখেছেন, কেন্দ্রের পোর্টালে ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্য এই ধরনের কেন্দ্রে ৯২৯২টি ছবি আপলোড করে। সেগুলিতে কেন্দ্রের বিধি আংশিক মানা হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের নির্দেশিত বিধি মানা হয়নি। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিধি না মানলে বরাদ্দ মিলবে না।

কেন্দ্রের যুক্তি মানতে নারাজ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,’ কোনও স্বাস্থ্য পরিষেবা, ভবনের রঙের উপর নির্ভর করে? তা পাওয়া মানুষের অধিকার। রং কখনও তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার তাদের নির্লজ্জ ভূমিকা প্রকাশ্যে এনে ফেলেছে। স্বাস্থ্য বিষয়টা রাজ্যের তালিকাভুক্ত। এই দখলদারি সংবিধান বহির্ভূত।’

জানা গিয়েছে, প্রকল্পের ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র এবং ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য। এই প্রকল্প বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। মা-শিশু স্বাস্থ্য-সহ জনস্বাস্থ্য পরিষেবার বিভিন্ন হয়ে থাকে এই প্রকল্পে। এছাড়া রাজ্য প্রায় ৬০ হাজার আশাকর্মী রয়েছে। এই প্রকল্পের টাকা আটকে গেলে তাদের ভাতা আটকে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ফলত আগামী লোকসভা ভোটের শাসকদলের ইস্যুতে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার বরাদ্দর সঙ্গে স্বাস্থ্য মিশনও যুক্ত হতে পারে। এই বরাদ্দ বন্ধের খবর হতেই দলের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here