[ad_1]
Biden-Jinping Meeting: শি জিনপিং-বাইডেন মুখোমুখি বসেই তুমুল অশান্তি চীন-আমেরিকা মধ্যে কি ভারত নিয়ে ঝামেলা? অবিশ্বাস চূড়ান্ত জিনপিংকে সোজা তোপ দাগলেন বাইডেন যে কথা বলার ছিল তা কি বলা সম্ভব হল? হাইভোল্টেজ একটা বৈঠক আর বৈঠক শেষ হতে হতেই এত বড় অশান্তি! মিটিংয়ের মধ্যেই জিনপিং কি ধমক দিলেন বাইডেনকে ভারত গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছিল প্রথম থেকেই। বাইডেন-শির বৈঠকে নিটফল কী বেরিয়ে এল?জানা কথা ছিল মতের মিল হতে পারে না আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কিন্তু তা বলে এমন অবস্থ কূটনৈতিক মহল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও চীনা প্রেসিডেন্টের ওয়ান টু ওয়ান এই বৈঠক বিশ্বের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মধ্যে একটা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে টানা ৪ ঘন্টা মিটিং। বাংলাদেশ, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইজরায়েল-হামাস, চীনে আটক মার্কিন নাগরিক নাকি ভারত সঙ্গে সম্পর্ক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হল?
জানা যাচ্ছে মিটিং শেষ হওয়ার পরই চীনা প্রেসিডেন্টকে স্বৈরাচারী ও একনায়ক বলে তোপ দাগেন জো বাইডেন।আর ঠিক এখান থেকেই শুরু হয় বড়সড় অশান্তি। সবথেকে বড় পয়েন্ট এই মিটিংয়ের মূল বিষয় হিসেবেই উঠে আসে তাইওয়ান প্রসঙ্গ। আর সেই নিয়েই বাইডেনকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন জিনপিং। বুধবার সান ফ্রান্সিস্কোর দক্ষিণে প্রায় ৩০ মাইল দূরে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে বৈঠকে বসেন বাইডেন ও জিনপিং। চোখ জুড়ানো সবুজ বাগিচা মনে প্রশান্তি আনলেও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর আলাপ যে মোটেও সুখকর হয়নি তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। চীনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর বাইডেনকে এদিন জিনপিং বলেন স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন আপনারাই এবার তা প্রমাণ করুন। মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানকে ফের ‘ওয়ান চায়না’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন জিনপিং কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন ফের গড়ে উঠবে অখণ্ড চীন।শান্তি বজায় রাখতেই হবে তবে সমস্যার সমাধান খোঁজা জরুরি।
এর মানে আমেরিকার মাটিতে বসেই আমেরিকাকে তাইওয়ান নিয়ে হুমকি। পাল্টা মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী স্টেপ নিলেন? মেগা-বৈঠকে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের গা-জোয়ারি চলবে না এই বলে সরব হন বাইডেন। বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কি এখনও জিনপিংকে ‘একনায়ক’ বলেই মনে করেন? এর উত্তরে বাইডেন স্পষ্ট বলেন ওনাকে দেখে তাই মনে হয়
জিনপিং একজন একনায়ক। কারণ তিনি চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ শাসন করছেন। বাইডেনের কথায় চীনের সরকার আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তাঁর এই বক্তব্যের পর বোঝাই গেল দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হওয়ার পথ খুব একটা প্রশস্ত নয়। তবে তাইওয়ান ছাড়াও যে ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাত নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার তেমনটাও জানিয়েছেন বাইডেন। বৈঠকের আপাতত যা জানা যাচ্ছে তাতে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি বাইডেন-শি বৈঠকে কোনও সমাধান, কোন সমঝোতা হলই না। তবে এর আফটার এফেক্ট কোন দেশের ওপর পড়বে সেটাই দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়