পূজা, বিসর্জন, বিজয়া দশমী কৃত্য ও কুলাচারানুসারে বিসর্জনান্তে অপরাজিতা পূজা।”
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।
যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।
অসুর নিধন শেষ। শুভশক্তির জয়, অশুভ শক্তির নাশ হলো আজ।
আজ শুভ বিজয়া দশমী। সনাতন ধর্মাবলম্বী দুর্গার বিসর্জন আজ। মা আজ বাপেরবাড়ির ছেড়ে শ্বশুরকুলে প্রত্যাবর্তন করছেন।
মাতৃভাবে তথা কুমারীভাবে আরাধনা ঈশ্বরের বৈচিত্র্যময় আরাধনার একটি রূপ অর্থাৎ সেই মাতৃভাবেরই আরাধনা। সনাতন হিন্দু ধর্মে এই আরাধনার পদ্ধতি দুটি।
একটি সাকার ও একটি নিরাকার, এই সাকার পদ্ধতি হলো প্রতীক পূজা এবং নিরাকার পদ্ধতি হলো জ্ঞান বা বিদ্যাচর্চা অর্থাৎ আত্মোপলব্ধি বা আত্মতত্ত্বকে জানা।
আকাশে বাতাসে ক্রন্দনের সুর, মা আজ যেন বলছেন আমি আসব ফিরে আবারো বারে বার। বিন্দু বিন্দুতে সিন্ধু গড়ে তোমার আনন্দসাগরে আমরা মেতেছি মা। সময়ের আলেখ্য শুধু বিষাদের কালক্ষেপণ।আজ ঢাকেশ্বরী ঢাকের বোল নতুন কথা বলে। বাদ্য আর সঙ্গীতের বোল আজ নিত্য দিনের কথা বলছে না, আর বলবেই বা কি করে মায়ের কাছে আবদার যে চিরকালের, কিন্তু মাকে নিয়ে আনন্দঘন মুহুর্ত আস্বাদন করব কি করে? তাই মা ব্রহ্মময়ী, যোগাসাধনে আজ আবার ফিরছেন শক্তিময়ী স্নেহ সুধাময়ী রূপে সংসার ভূমে।
সিঁদুর, মিষ্টি, সুপারি ও পানে মায়ের আনন্দখেলায় মেতে আজ বিজয়াদশমীর সুর। দশমীর বিসর্জন পর্ব শেষ হচ্ছে আজ কলুষতামুক্ত জীবন স্পন্দন মথিত হয়ে
গৌরবান্বিত সমাজের আকাঙ্কায় জনজীবন।
“আসছে বছর আবার হবে “।
রবীন্দ্র ভাবনার গানে তাই আবারো আমরা –
“যে এসেছে তাহার মুখে দেখ্ রে চেয়ে গভীর সুখে,
দুয়ার খুলে তাহার সাথে বাহির হয়ে যা রে।।
শরতে আজ কোন্ অতিথি এল প্রাণের দ্বারে।
আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে।।”
-+++++++++++–+++++++++++–+++++++++++