Home আপডেট আটদফা ভোটে চারদফায় প্রার্থীতালিকা ~ দিল্লীতে নির্বাচনী কমিটির বৈঠক বিজেপির

আটদফা ভোটে চারদফায় প্রার্থীতালিকা ~ দিল্লীতে নির্বাচনী কমিটির বৈঠক বিজেপির

আটদফা ভোটে চারদফায় প্রার্থীতালিকা ~ দিল্লীতে নির্বাচনী কমিটির বৈঠক বিজেপির

দিল্লিতে ডাক পড়েছে রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতাদের। অতএব যোগী আদিত্যনাথ এর সভা শেষ করেই তড়িঘড়ি রাজধানী মুখী দিলীপ, মুকুল, কৈলাশরা। নির্বাচনী কমিটির বৈঠক মিটিয়ে দ্রুত ফিরতে হবে রাজ্যে। ৭ তারিখে ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা। রয়েছে তার প্রস্তুতির কাজ।
কিন্তু হঠাত্‍ সবার একসঙ্গে কেন দিল্লিতে ডাক পড়ল? জানা যাচ্ছে সেখানে বিশেষ বৈঠক। আলোচনা হবে প্রার্থী তালিকা নিয়ে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামী  বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকেই এ রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে একসঙ্গে ২৯৪ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে না। রাজ্য বিজেপির এক সিনিয়র নেতা aajkaal.in কে জানালেন, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে। প্রথম দফায় ২৭ শে মার্চ ও ১ লা এপ্রিল এর জন্য মোট ৬০ টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতে চলেছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি অংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার কয়েকটি কেন্দ্র। বুধবার একই ভাবে প্রথম ২ পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্যে ৮ পর্যায়ে ভোট হবে। সূত্রের খবর, ৪ ভাগে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে গেরুয়া শিবির।
ইতিমধ্যেই টলিউডের একটা বড় অংশ নাম লিখিয়েছে বিজেপিতে। প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ প্রার্থী হতে পারেন ঝাড়গ্রাম থেকে। শোনা যাচ্ছে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর অনেকটা নির্ভর করছে বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর কেন্দ্র থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হতে পারেন। কারণ অনেকেই মনে করছেন বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার দিলীপ। অভিনেতা হিরণ, যশ দাশগুপ্ত, অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, পাপিয়া অধিকারী সহ টলিউডের এক ঝাঁক তারকার নাম থাকতে পারে প্রথম দফার তালিকায়।
মঙ্গলবার সন্ধেয় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তৃণমূল থেকে ভোটের আগে আর কাউকে নিতে চাইছে না বিজেপি। কারণ একদিকে যখন রাজ্যের ২৯৪ টি কেন্দ্র জুড়ে ‘‌পরিবর্তন যাত্রা’‌ চলছে, তখনই বিভিন্ন জেলায় ‘‌আদি ও নব্য’‌ সংঘাত শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে অনেকেই বলছেন, বিজেপির মত সংগঠন নির্ভর দলে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে এক সঙ্গে বহু নেতা চলে আসায় রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যবধান বাড়ছে। যে কারণে একাধিকবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মণ্ডল সভাপতি, বুথ কার্যকর্তা সহ একাধিক সাংগঠনিক পদে কর্মকর্তা নির্বাচনের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রেও যাতে দলের আদি ও নতুনদের মধ্যে কোনও সমস্যা না তৈরি হয় তাই ‘‌ধীরে চলো’‌ নীতিতেই চলতে চাইছে পদ্ম শিবির।