অসমে খারাপ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।সেখানকার ৩৩ জেলার মধ্যে ২৫ জেলা জলমগ্ন। বন্যার কবলে পড়েছেন প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের।
বৃহস্পতিবার বঙ্গাইগাঁও ও কোকরাঝাড় জেলায় দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানেও জলে ডুবে ১২৩ টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১২টি একশৃঙ্গ গন্ডার রয়েছে। বাকি পশুদের মধ্যে ৯৩টি হরিন ও চারটি মহিষেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান এবং টাইগার রিজার্ভের প্রায় ৯০ শতাংশ জলে ডুবে গিয়েছে। একই অবস্থা পবিতরাতেও। বন্যার জল থেকে প্রাণ বাঁচাতে, কোথাও বা জলের তোড়ে ভেসে লোকালয়ে হাজির হয়েছে বাঘ-গণ্ডার। তবে অসংখ্য বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করে সংরক্ষণাগারেও পাঠিয়েছেন বনদফতরের কর্মীরা। উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০টি বন্যপ্রাণ। তার মধ্যে দুটি গন্ডারের বাচ্চা, ১১৭টি হরিন, চারটি বাঘ, একটি বন্য মহিষ ও একটি বুনো শুয়োরকে উদ্ধার করা হয়েছে। অসমে বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে ১.৪৬ লাখ হেক্টর চাষের জমি। এ বছর বন্যা এবং ভূমিধসে অসমে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ২৬ জন মারা গিয়েছেন ভূমিধসে। নতুন করে অসমে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। ইতিমধ্যেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র-সহ অসমের একাধিক নদী। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জলের উচ্চসীমা ৪৯.৬৮ মিটার। তা ক্রমাগত বাড়ছে।
শুধুমাত্র গুয়াহাটি নয়, ডিব্রুগড়, জোড়হাট, তেজপুর, গোয়ালপাড়া ও ধুবড়ি জেলায় জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।’ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী বিভাগের ডিজি এস এন প্রধান জানিয়েছেন উদ্ধার কাজের জন্য অসমে ১৬টি দল কাজ করছে। ইত্যিমধ্যেই প্রায় ৭৮ হাজার ৩১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আগামী কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, বিহার, পঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।