[ad_1]
CYCLONE MIDHILI: মিধিলির চক্রব্যূহে ফুঁসছে সাগর। ভয়ে তটস্থ বাংলাদেশ, দুর্যোগের কাঁটা ভারতেও। মোকার মতোই অ্যাটাক করবে না তো? বাংলাদেশের কোন কোন জোনে বাড়ছে রিস্ক? বাংলার কোন কোন জেলা রেড অ্যালার্টে? কতটা শক্তিশালী এই মিধিলি? টেনশন বাড়াচ্ছে আইএমডির ওয়েদার অ্যালার্ট। সামনের ২৪ ঘণ্টাতেই শুরু তুমুল তাণ্ডব? বঙ্গোপসাগরে একটা মারাত্মক সিস্টেম তৈরি হয়েছে। তার জেরেই কি তোলপাড় হবে বাংলা? কি বলছে রিপোর্ট? ফুঁসছে সাগর, তাই আগেভাগেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইএমডি। অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে এর এফেক্ট পড়তে শুরু হয়ে গেছে।বাংলাতেও এর প্রভাব কম পড়বে না। উপকূলের ৩ জেলায় তুমুল দুর্যোগের আশঙ্কা। বেশি প্রভাব পড়বে সুন্দরবনে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে! কলকাতা-সহ দক্ষিণের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে! দমকা বাতাস বইছে উপকূলে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার অবধি হতে পারে বলে আশঙ্কা।
ভারতের মৌসম ভবন বলছে, অলরেডি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আরও শক্তি বাড়িয়ে সেটি অতিগভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে আগামী কয়েকদিনে। এই সিস্টেমটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে – মিধিলি। এই নামটি মলদ্বীপের দেওয়া। এই ঝড়ের দরুণ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকা ধান নষ্টের শঙ্কা যেমন থাকছে, তেমন সবজিতে পচন ধরে গিয়ে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয় বৃষ্টির জলে মাটি ভিজে গেলে পিছিয়ে যেতে পারে আলু চাষও। বাংলার পাশাপাশি টেনশন বাড়ছে বাংলাদেশেও।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, হামুনের মতো ঘূর্ণিঝড় মিধিলিও বাংলাদেশে যাবে। অলরেডি গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এটা মিধিলি আসার পূর্ব সংকেত।মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার ভোররাতে মংলা-খেপুপাড়া উপকূল হয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগে ঢুকবে এই ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মিধিলি উত্তর ও উত্তর-পূর্বে বাংলাদেশের দিকেই এগোচ্ছে। তবে এটা কখন আঘাত হানবে তা এর বডির গতির ওপর নির্ভর করছে। তাই সেই ব্যাপারে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। মিধিলি খুলনা ও বরিশালের মাঝখান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।যে কোনও সময় গতিপথ পরিবর্তনও করতে পারে। সেই মতোই মিধিলি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
জানা যাচ্ছে, মিধিলি একটি সাধারণ সাইক্লোন হবে। এটি খুব দ্রুত ঘনীভূত হয়েছে। এর এগোনোর গতিও বেশি। শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ের পরিণত হলে, পরবর্তী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে তা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। উপকূল অতিক্রমের সময় এর গতি থাকতে পারে ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বাংলাদেশ বলছে ‘গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে সতর্ক সংকেত বাড়বে! সংকেত বেড়ে পাঁচ, ছয়, সাত পর্যন্ত যেতে পারে। অতএব এটা স্পষ্ট বাংলা থেকেও বাংলাদেশের রিস্ক বেশি মিধিলির জন্য।পুরো সিস্টেমটার জন্য বাংলাদেশে শনি এবং রবিবারও বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়