[ad_1]
ঘাটাল উৎসব এবং শিশুমেলার কমিটি থেকে এবার নাম বাদ পড়ল সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ঘাটালের শ্রী অরবিন্দ স্টেডিয়ামে কমিটি গঠনের জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে নতুন কমিটি থেকে দীপক অধিকারী ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের নাম বাদ পড়ে। তাতেই দেবের অনুগামীরা প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায় বৈঠক। এই নিয়ে ঘাটালে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির রাজনীতি বুঝি না, যেটা ভুল সেটা ভুল, আবাস দুর্নীতি নিয়ে বললেন দেব
এদিন সেখানে বৈঠকের শুরুতে মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা সেখান থেকে চলে যান। এরপরে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিন কান্তি বেরা। এর পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাজি, ঘাটাল সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শঙ্কর দলোই এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, সাধারণত এই কমিটির সভাপতি পদে রাখা হয় মহকুমা শাসককে এবং অন্যান্য পদে দলের নেতা-নেত্রীদের রাখা হয়। সেক্ষেত্রে মূলত শাসকদলের নেতা নেত্রীরাই কমিটিতে থাকেন। সেখানে প্রতিবার সাংসদ দীপক অধিকারীকে কমিটির পদে রাখা হয়। তাঁর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন রামাপদ মান্না। কিন্তু এবার কমিটি থেকে দীপক অধিকারী ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের নাম বদ দেওয়া হয়। যদিও এদিন সাংসদ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন তারা জানতে চান কেন নাম বাদ দেওয়া হয়েছে? এই নিয়ে বাদানুবাদ এবং ধস্তাধস্তি শুর হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাটাল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শেষ পর্যন্ত কমিটি গঠন ব্যহত হয়। যদিও ঘাটালের সংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি শঙ্কর দোলই দাবি করেন, মেলা কমিটির বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ করে কিছু যুবক এসে উত্তেজনা তৈরি করে। তাঁর বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কমিটি গঠন বানচাল করা হয়েছে। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা তিনি স্বীকার করেননি। দিলীপ মাজি জানান, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এসব হয়েছে। তিনি জানান, আগামী দিনে আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। অন্যদিকে, রামপদ মান্নার বক্তব্য, দেবকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনা মানুষ তার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ঘাটালের মানুষ চোর ডাকাতের লড়াই চায় না। তারা একটি সুস্থ এবং শান্তিপূর্ণ মেলা চান। আগে নিয়ম ছিল যে বিধায়ক মেলা কমিটির সেক্রেটারি হবেন। কিন্তু এখন আর সেই নিয়ম মানা হয় না।