Home আপডেট এই প্রথম বড়দিনের প্রার্থনা বন্ধ নোত্র দামে

এই প্রথম বড়দিনের প্রার্থনা বন্ধ নোত্র দামে

এই প্রথম বড়দিনের প্রার্থনা বন্ধ নোত্র দামে

দুই বিশ্বযুদ্ধও থামাতে পারেনি নোত্র দামের বড়দিনের উত্‍সব। কিন্তু এপ্রিলের ভয়াবহ আগুনের পরে এ বার ক্রিসমাসের প্রার্থনা বন্ধ রাখা হচ্ছে প্যারিসের এই ঐতিহাসিক গির্জাটিতে। ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে  প্রতি বারের মতো এ বার আলো জ্বলবে না ৮৫৫ বছরের প্রাচীন এই গির্জার পুড়ে যাওয়া বিরাট হলে। যদিও গির্জার রেকটর প্যাট্রিক শোভে জানিয়েছেন, নোত্র দামের ‘আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখতে ক্রিসমাস উপলক্ষে প্রার্থনার আয়োজন করেছেন তাঁরা। এ বারের জমায়েত হবে নোত্র দামের এক মাইলের মধ্যে অন্য একটি গথিক গির্জায়। প্যাট্রিক এ-ও জানিয়েছেন, সেখানে নোত্র দামের আদলেই উপাসনার জন্য কাঠের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ”নোত্র দামের বাইরে এ বার আমাদের প্রার্থনা করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই কোনও একটি চিহ্ন দিয়ে নোত্র দামকে আমাদের সঙ্গে জুড়ে রাখার চেষ্টা করছি। ফরাসি বিপ্লবের পরে এই প্রথম বড়দিনের রাতে কোনও প্রার্থনা হবে না গির্জাটিতে।” বহু ঝড়ঝাপটা সত্ত্বেও গত দু’শো বছরের ইতিহাসে বড়দিনের ত্‍প্রার্থনা বন্ধ থাকেনি নোত্র দামে। শুধুমাত্র ১৭৯০ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময়ে ক্যাথলিক-বিরোধী শক্তির তাণ্ডবে বন্ধ হয়েছিল বড়দিনের জমায়েত।এ বছর ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে তাই প্যাট্রিকের নেতৃত্বে প্রার্থনা হবে স্যাঁ-জার্ম্যাঁ লোক্সেরোয়া গির্জায়। হাজার হাজার মানুষের সমাগমের মধ্যে বেজে উঠবে প্রার্থনাসঙ্গীত। তাতে অংশ নেওয়ার কথা নোত্র দামের নিজস্ব কয়েকটি গায়কদলেরও। সে সময়ে ক্যাথিড্রালের ‘আইকনিক’ গথিক কাঠামোর ছবি ভেসে উঠবে পর্দায়।এপ্রিলের সেই অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই গির্জার কাজকর্ম, প্রার্থনা অস্থায়ী ভাবে চলছে স্যাঁ-জার্ম্যাঁ লোক্সেরোয়া গির্জাটিতেই। দ্বিতীয় এই গির্জাটি নোত্র দামের কাছেই লুভ্‌র-এর ঠিক পাশে। এক সময় এটি ছিল ফরাসি রাজাদের প্রার্থনার জায়গা। কারণ তাঁরা মূলত থাকতেন লুভ্‌র-এর আশপাশেই। সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি রবিবার নোত্র দামে নিয়মিত আসতেন যাঁরা, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন স্যাঁ-জার্ম্যাঁ গির্জার প্রার্থনায়।