oi-Paramita Das

প্রতিটি সন্তানের কাছে তার বাবা-মা ছাড়া কাছের মানুষ বোধহয় খুব কম জনই হন। একটি সন্তানকে বড় করতে বাবা-মা মায়ের দুজনেরই অবদান অনেক। যা হয়তো ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। বাবা-মাকে ভালবাসতে বা তাদের খুশি রাখার জন্য কোন দিনের প্রয়োজন হয় না।

তবুও মাদার্সদের মতন ফাদার্স ডে পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। ১৮ জুন চলতি বছরের পালিত হচ্ছে ফাদার্স ডে। জুন মাসের তৃতীয় রবিবার ফাদার্স ডে উদযাপন করছেন সকলে, কেন পালন করা হয় ফাদার্স ডে। এর পেছনে রয়েছে কী ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে, জানুন এই প্রতিবেদন থেকে।

ইতিহাস

অ্যালমানাকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিষ্কন ১৮ জুন বাবা দিবসকে জাতীয় মর্যাদা দেন এবং সেই দিনটিকেই তিনি ফাদার্স ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। জুনের তৃতীয় রবিবার পালিত হয়েছিল এই দিবস। তারপর থেকে জুন মাসে তৃতীয় রবিবার বিশ্ব জুড়ে বাবা দিবস পালন করছেন সকল সন্তানরা।
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই দিবসটি পালিত হয় ১৯ মার্চ। অস্ট্রেলিয়া এবং ফিজিতে পালন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবিবার। বাবাদের প্রতি সন্তানদের ভালোবাসা, কর্তব্য এদিন পালন করে থাকেন, সন্তানরা বাবাদের খুশি করেন নানা রকম উপহার দিয়ে, গল্প করে।

তাৎপর্য

বাবা মানে এক আলাদা অনুভূতি, এক আলাদা ভালোবাসা। শত কষ্টের সময় বাবার কাছে মনের কথা বললে কিছুটা কষ্ট লাঘব হয়। কোনও স্বার্থ ছাড়াই বাবা আমাদের নানান সমস্যা থেকে বের করে আনেন অর্থাৎ নানান সমস্যা থেকে মুক্তি দেন আমাদের, একটু সুখে রাখার জন্য নিত্যদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তাঁরা, সেই বাবাদের জন্য সন্তানদেরও কিছু করা কর্তব্য। এই ফাদার্স ডেতে প্রতিটি সন্তানের উচিত তার বাবাকে খুশি রাখা। তিনি যেটি খেতে ভালোবাসেন, বা তাকে মন মতন কোন কিছু উপহার দেওয়া। সন্তানরা এই বিশেষ দিনে তার বাবাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে পারেন আবার কেক কেটেও খাওয়াতে পারেন।

উক্তি

উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘একজন পিতাই তার সন্তানকে সবথেকে ভালো চ্যানেল।’
দিমিত্রি দ্য স্টোনহার্ট বলেন, ‘একজন বাবা আপনাকে বলেন না যে, তিনি আপনাকে ভালবাসেন। তিনি আপনাকে দেখান যে তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন।’
জাস্টিন রিকলেফস বলেন, সন্তানের জীবনে একজন বাবার ভূমিকা তুলনা করা যায় না।