ওয়েব ডেস্কঃ আজ মাঘীপূর্ণিমা,বুদ্ধদেবের নির্বাণ ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। আর আজ পৃথিবী দীর্ঘ দেড়শ বছর অপেক্ষার পর দেখতে চলেছে সেই বিরল বৃহৎ নীল চাঁদ। সেই দৃশ্যে চাঁদের নাম সুপার মুন, ব্লাড মুন ও ব্লু মুন। চোখের সামনে পাল্টে যাবে রঙ, মানে? সাদা থেকে লাল, আর লাল থেকে নীল – ক্রমপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে স্থিতি হারাবে আর সাক্ষী হবে আগামী। কারণ ১৮৬৬ সালে ৩১ শে মার্চ পৃথিবী সাক্ষী হয়েছিল এই দৃশ্যের, আগামী ২০৩৭ সালের ৩১ শে জানুয়ারি এই নীল চাঁদের সাক্ষী হবে পৃথিবী।
পৃথিবী নিয়ত ঘুরছে, আর সেই পথেই কখনও চাঁদ, ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী এসে পড়ে। এক সরলরেখায় অবস্থান করে এই চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী । পৃথিবীর কিছু মানুষ এটা দেখতে পায় আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অদৃশ্য। এই এক সরলরেখায় অবস্থান করলেই চন্দ্রগ্রহণ হয়।
ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য, আর আরবের দেশগুলিতে দেখা যাবে এই চাঁদ। তবে এবার অদৃশ্য নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি থেকেও এই নীল চাঁদ দেখা যাবে । সাক্ষী থাকবে আলাস্কা, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, উওর পশ্চিম কানাডায় এই গ্রহণ দেখা যাবে। আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী তাই সমগ্রতায়। উল্লেখ্য এই যে, ২০০৯ সালে একবার নীলচাঁদ দেখা দেয়, যদিও তা পূর্ণগ্রাস গ্রহণ ছিল না। আজকের বিশেষ গ্রহণে চাঁদের নীচের অংশকে উপরের অংশ থেকে বেশী উজ্জ্বল দেখাবে আর উপভোগ্য পূর্ণগ্রাসের সময় ১ ঘন্টা ১৭ মিনিট। আর আজ চাঁদের আয়তন হবে ২৪ গুণ বেশী। তবে আগামী অপেক্ষারত, তবু বর্তমান কে ছেড়ে নয়, তাই বিরলের ইতিহাসে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।