করোনা জেরে লকডাউনে ফলে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস স্কুল বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামীকাল, শুক্রবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও বেশকিছু বেসরকারি স্কুল খুলতে চলেছে। আর এরই মধ্যে আগামীকালই রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ ডেকেছে বামেরা। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে আগামীকাল বন্ধে সাধারণ মানুষের সমস্যা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু বন্ধের কথা মাথায় রেখে চিন্তিত অভিভাবকরা। তাঁদের প্রশ্ন, তা হলে কি আগামীকাল বন্ধের মধ্যে স্কুল স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে? যদিও এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বৃহস্পতিবার পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘কাল স্কুল খুলছেই। যাঁরা বন্ধ ডেকেছেন তাঁরা ঠিক করবেন কী করবেন।’ তিনি এদিন বামদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘এতদিন পঠন পাঠন চালুর জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে ছিল। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের কী হবে, প্র্যাকটিক্যালগুলো কীভাবে করা হবে সেদিকে নজর না দিয়ে যদি তাঁরা এ ধরণের কোনও সিদ্ধান্ত নেন তা হলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত বদল করব না। আমরা আগামীকাল থেকেই স্কুল খোলার ব্যবস্থা করেছি এবং কালকেই খুলবে।’ এদিকে, সিপিএম নেতা বন্ধ ঘোষণা করার সময় বলেছেন, ‘আগামীকাল রাজ্যে মানুষ পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে স্বতস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট পালন করবেন। হরতাল পালন করবেন।’ আর এই বন্ধ রুখতে ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। জানা গিয়েছে, আগামীকাল বন্ধের জন্য যাবতীয় পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হবে। শহরে মোতায়েন থাকবে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ। জোর করে দোকানপাট বন্ধ, গাড়ি আটকালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এদিন জানিয়েছে জয়েন্ট সিপি । উল্লেখ্য, এ দিন নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধর্মতলা সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে৷ পুলিশের মারে ২৫ জন বাম সমর্থকরা আহত হয়েছেন, এই অভিযোগে আগামিকাল, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট৷ প্রশাসনের তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বনধ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপই করা হবে৷ জোর করে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷