[ad_1]
ভিটেটাও কেড়ে নিয়েছে মিনি টর্নেডো। সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে ত্রাণ নিয়েও তাঁদের নানা অভিযোগ রয়েছে। চিন্তায় ঘুম আসছে না অনেকের। তার মধ্য়েই এবার জনসভা থেকে সেই ঝড়ে দুর্গতদের প্রসঙ্গ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূলের দাবি, দুর্গতদের আর্থিক সাহায্য করার জন্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল দল। কিন্তু এনিয়ে পর্যাপ্ত অনুমতি মেলেনি বলে দাবি তৃণমূলের।
এবার আলিপুরদুয়ারের একটা সভা থেকে সেই ঝড়ে দুর্গতদের প্রসঙ্গ তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাটিতে মিশে যাওয়া মানুষদের সাহায্য করতে দেয়নি। ২০ হাজার টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কতটা সহায়তা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, আমরা বাংলার বাড়ি দিতে চেয়েছিলাম। ওরা দিল না। আজকে আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি। এটা বলতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে কেউ যদি মনে করেন কেস করবেন, করতে পারেন। গরিব মানুষের জন্য কথা বলতে গিয়ে আমাকে কেস খেতে হলে খাব। হাজার বার কেস খাব।
কার্যত ময়নাগুড়ির দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সামনেই লোকসভা ভোট। দুর্গতদের মধ্য়ে ক্ষোভ দানা বাঁধলে তা ইভিএমে প্রভাব ফেলতে পারে। সেকারণেই এবার সেই দুর্গতদের পাশে থাকতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যদি সামনে ভোট না থাকত সেক্ষেত্রে কি দুর্গতদের জন্য় এতটা মন কাঁদত তৃণমূলের?
এদিকে ময়নাগুড়ির বার্নিশে গিয়ে দেখা গিয়েছে একের পর এক বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের রোজ খিচুড়ি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে।জলও দেওয়া হচ্ছে। সরকারি তরফে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। তার নীচেই রাত্রিবাস করছেন দুর্গতরা। কিন্তু ঘর তৈরি হবে কীভাবে?
মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে কিছু করছি না। এটা প্রশাসন করবে। বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে একটা আইন আছে। ওটা আমরা খুঁজে বের করেছি। জুলাই মাস থেকে কার্যকর হয়েছে। কারও জানা ছিল না। বার বার অনুরোধ করেও যখন কাজ হয় না, তখন আইনই আমাদের পথ দেখায়।
অনেকের মতে নিয়মের গেরোতে নানা সমস্যা রয়েছে। কেউ যাতে ত্রাণের নাম করে ভোটারদের মধ্য়ে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন সেটা দেখা হচ্ছে।