পিছন দিকে হাঁটা। রূপক অর্থে নয়। প্রকৃত অর্থেই। অনেকেই খেলার ছলে এমন করে থাকেন। আবার অনেক ধরনের খেলাধুলায় প্রশিক্ষক খেলোয়ারদের এই হাঁটার অনুশীলনকরান। এমনকী পিছনে হাঁটার প্রতিযোগিতাও হয়।
এই ধরনের হাঁটার বেশ কিছু সুফল জানা ছিল এতদিন। যেমন পায়ের বিশেষ পেশির ব্যয়াম হয় এতে। জঙ্ঘার পেশি তার মধ্যে অন্যতম। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতাবাড়ে এতে। পায়ের সেই সব হাড়, যার ব্যবহার কিনা তুলনায় অনেক কম হয়, তারও ব্যবহার বাড়ে, ফলে সেগুলি শক্তপোক্ত হয় পিছন দিকে হাঁটার কারণে। এমনকী সোজাহাঁটার চেয়ে উল্টো হাঁটলে বেশি ক্যালোরি বার্ন হয়বলেও মত স্বাস্থ্যবিদদের।
তবে পিছনে হাঁটার সুবিধার তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি বিষয়। ‘শর্ট টার্ম মেমারি’ বা নিকট স্মৃতি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এই হাঁটা মারাত্মক উপকারি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি আমেরিকার এক গবেষক দলের তরফে জানানো হয়েছে এই নতুন তথ্য। তাঁদের মতে, পিছনে হাঁটলে মস্তিষ্কের এমন অংশের একসারসাইজ হয়, যা এই ধরনের স্মৃতিসংরক্ষণ করে।
বেশ কিছু মানুষই রয়েছেন যাঁরা নিকট অতীতের স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যায় আক্রান্ত। হলিউডে ‘মেমেন্টো’ বা বলিউডে আমির খান অভিনীত ‘ঘজনি’ ছবির কেন্দ্রেও ছিলনায়কের এই সমস্যা। আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী পিছনে হাঁটলে এই সমস্যার পরিমাণ কিছু হলেও কমতে পারে। যাঁদের এই জাতীয় কোনও সমস্যাই নেই, তাঁরাও উপকৃত হতেপারেন দিনের অল্প সময় এই হাঁটার অনুশীলন থেকে। বাড়বে স্মৃতি, কমবে মেদ।