পশ্চিম আফ্রিকার নিগার দেশের মানুষ ওডাবে জনজাতির লোকজন। পৃথিবীর প্রতিটি সম্প্রদায় বা জনজাতির কিছু না কিছু মৌলিক সংস্কৃতি থাকে, যা আর কারও থাকে না। সেই হিসেবে ওডাবে-দেরও তা আছে এবং সেটি বেশ অদ্ভুত। এই সম্প্রদায়ের পুরুষরা মনে করেন, তাঁরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ। এবং তাই তাঁরা সবসময় নিজেদের সঙ্গে আয়না রাখেন।
এ তো গেল পুরুষদের কথা। বিয়ের বিষয়ে তাঁদের ব্যবস্থা আরও অদ্ভুত। সম্প্রদায়ের মহিলারা বিয়ের আগে যত জন খুশি সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন। এরপরই যখন আসে, বিয়ের সময়, তখন সম্প্রদায়ের তরফে এক বাৎসরিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবের নাম গেরওল। পুরুষরা তাঁদের সেরা পোশাকটা পরেন। খুব সাজগোজ করেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য। অন্যের স্ত্রীকে মুগ্ধ করা।
এই জনজাতির মানুষের বিশ্বাস টিকালো নাক, চোখের সাদা অংশের উজ্জ্বলতা আর সাদা দাঁতের মান দিয়েই সৌন্দর্য মাপা যায়। তাই পুরুষরা নিজেদের এই দিকগুলোকে আরও বেশি করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।
জনজাতির সেরা সুন্দরী তিন মহিলার হাতে থাকে সেরা পুরুষ নির্বাচনের দায়িত্ব।
এ তো গেল সৌন্দর্যের প্রতিযেগিতা। এরপরেই শুরু হয় বউ-চুরির খেলা। কোনও পুরুষ যদি কোনও বিবাহিতা নারীকে পুরোপুরি মুগ্ধ করতে পারেন, তাহলে তাঁর সুযোগ থাকে ওই মহিলার দ্বিতীয় স্বামী হয় ওঠার। এমনকী আগে ধরা না পড়লে ওই মহিলা পুরনো স্বামীর কাছ থেকে বেরিয়ে এসে শুধুমাত্র নতুন স্বামীর কাছেও চলে যেতে পারেন। জনজাতির কেউ-ই তাতে আপত্তি করেন না।
ওডাবে জাতির সংস্কৃতির মধ্যেই রয়েছে একাধিক সম্পর্কের বৈধতার স্বীকৃতি। সেই কারেণ এই স্ত্রী-চুরিতে খুব একটা আপত্তি থাকে না কারওরই। কিন্তু আধুনিক সময়ে অনেকেই আর মেনে নিচ্ছেন না এই খেলা। তাই অনেক স্বামী তাঁদের স্ত্রীদের এই খেলায় অংশ গ্রহণ করতে দেন না।