Home আপডেট ৫৬” ইঞ্চি যখন, তখন এত ভয় কিসের শুনি!

৫৬” ইঞ্চি যখন, তখন এত ভয় কিসের শুনি!

৫৬” ইঞ্চি যখন, তখন এত ভয় কিসের শুনি!

দেশভাগের পর লোটা কম্বল নিয়ে, সামান্য যযমানি সম্বল করে এদেশে এসেছিলেন আমার ঠাকুরদা। বাবা ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন কম বয়সে রাজ্য সরকারি চাকরি পেয়ে সংসারের হাল ধরেন। কলকাতায় জন্ম হয়েও আজ আমার মা আমাকে কথায় কথায় বলেন নাগরিকত্বের প্রমাণ কাছে রাখো। না হলে নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি এনআরসির নাম করে তোমাকেও ও অভারতীয় চিহ্নিত করতে পারে।

আজ পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন ভারতের বুকে ঢুকে গত পাঁচ বছরে রেকর্ড সংখ্যক সিকিউরিটি পার্সোনাল মানে আর্মি সিআরপিএফ এবং সাধারন নাগরিকদের হত্যা করে চলেছে। আমাদের সরকার তার জন্য লড়ছে, কিন্তু সেটা আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি ছাড়া কেউ ভারতীয় নন। গোঁড়া হিন্দু এবং সন্ত্রাসবাদি হিন্দু রাই শুধু ভারতের নাগরিক। ব্রাহ্মণের ছেলে হয়েও এদের বিরোধিতা করে আমাকে শুনতে হয়েছে পাকিস্তানে চলে যাও।

কিন্তু এই পাকিস্তানের এত রমরমা কাদের জন্য?  আমেরিকা তো অনেকদিন আগেই হাত তুলে নিয়েছে, শুধুমাত্র চীনের সহায়তায় বারবার আঘাত হানা হচ্ছে আমার দেশের উপরে। জোড়া আক্রমণে আমাদের দেশ আজ বিধ্বস্ত।
চীনের মসনদে বসে থাকা মানুষটি জানেন যে ১৪৫ কোটি জনগণের শক্তি পরাক্রমশালী আমেরিকা কেও চোখ রাঙাতে যথেষ্ট। চায়নায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন প্রকৃত দেশ ভক্তি কাকে বলে। সমস্ত বিদেশি জিনিস এমনকি ফেসবুক ও ওরা নিজেদের দেশের টাই ব্যবহার করে। চীনের কাছে খোলা বাজার আজ পাকিস্তান। সড়ক যোগাযোগে চলছে অস্ত্র সহ সব সামগ্রী আদান প্রদান।

Image result for pakistan china
আর হায়রে আমাদের দেশে রাইফেল, যুদ্ধবিমান বা গুলি আসে বিদেশ থেকে। আজও মাত্র ১০ দিন যুদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট গোলা-বারুদ নেই অস্ত্রভাণ্ডারে। দেশীয় এবং সরকারী অস্ত্র কারখানা গুলি ধুঁকছে আর ফ্রান্স থেকে আম্বানি মারফত আসছে যুদ্ধ বিমান।
চীনের নাগরিক আগে চায়নায় থাকেন, তারপর তিনি হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান বুদ্ধিস্ট বলে নিজেকে পরিচয় দেন। এখানেই তাদের একাত্ববোধ।

আজকের দিনে ২০২০ তে বসেও আমরা গোত্র নিয়ে আলোচনা করব, গরুর পেচ্ছাপ খেলে কি কি ভালো হবে, কার পেটে কোন মাংস আছে তা নিয়ে আলোচনা করব।
মহামহিম যিনি মসনদে বসে আছেন আমার দেশে, তিনি জাত ধর্ম বর্ণ নিয়ে বিভিন্নতার আলোচনায় বেশি উদ্যোগী। গরু রক্ষা করা হয়, মানুষ পিটিয়ে। গোর্খাল্যান্ড, ত্রিপরা ল্যান্ড, আলফা, কাশ্মীরে পিডিপি এরকম আঞ্চলিক বিচ্ছন্নতাবাদী শক্তিকে মদত জোগানো হয় শুধু ভোটের স্বার্থে। তাঁরাই আজ দেশপ্রেমী

সত্যিই ভারতবাসী হিসেবে আমরা ভীষণ শঙ্কিত, ভক্ত বললেন  তাহলে পাকিস্তানে চলে যা। আমার উত্তর, আপনারা উত্তর কোরিয়া গেলেই পারেন স্বৈরাচারী শাসন ওখানে আরো ভালো চলে।

যাই হোক, দেশকে আঞ্চলিক প্রাদেশিক ধর্ম বর্ণ জাত পাত নিয়ে আজ কয়েক হাজার টুকরো করে দিয়েছে এই সরকার। ১৩০কোটির মধ্যে ১৩ কোটিও আজ এক অবস্থানে নেই। প্রমান দিতে হবে ধর্ম, জাত, বর্ণ কি গেরুয়াধারী দের কাছে।।

তাই আজ আমরা দুর্বল। তাই আজ আমরা পাকিস্তানের অত্যাচার বুকের উপর সহ্য করে রোজ দিন কাটাচ্ছি। ছোটবেলায় পড়েছিলাম দশটা লাঠি এক হলে তার শক্তি বাড়ে, একক ভারত বর্ষকে টুকরো টুকরো করে শুধু ভোটব্যাঙ্কের পরিকল্পনা নিয়ে যে সরকার চালানো চলছে তাতে সত্যিই প্রতিটা ভারতবাসী অসহায়তা এবং আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

৫৬ ইঞ্চির যদি ক্ষমতা থাকে বিদেশী শক্তিকে প্রতিরোধ করে দেখাক দেশের মধ্যে আগুন না জ্বালিয়ে। গোরক্ষার নামে অনেক বলি তো হল, ভারত মা কে রক্ষা করার সাহস এবং সততার অপেক্ষায় সারা দেশ। শহিদ জওয়ান দের ধর্ম শুধুই দেশপ্রেম ছিল মোদিজী, তাই আজ শেষকৃত্তে গীতা কোরান দুই পাঠই চলছে।