Home অফ-বিট North Sea: পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর সাগর, দানবের মতো ঢেউ! গিলে খায় সব কিছু

North Sea: পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর সাগর, দানবের মতো ঢেউ! গিলে খায় সব কিছু

North Sea: পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর সাগর, দানবের মতো ঢেউ! গিলে খায় সব কিছু

[ad_1]

North Sea: দানবের মতো ঢেউ, মনে হচ্ছে নিমেষে সব কিছু ধ্বংস করে দেবে। দেখেই কেমন বুকটা কেঁপে উঠছে না? এই সাগর নাকি বড় বিশ্বাসঘাতক। দেখতে যেমন, তেমনটা কিন্তু নয়, যে কোন মুহূর্তে বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ। বলছি উত্তর সাগর বা সুমেরু মহাসাগরের কথা। যার ভিডিও টিকটকে বিশাল ভাইরাল। আচ্ছা, স্ক্রিনে যতটা ভয়ঙ্কর দেখছেন, এই সমুদ্র এতটাই কি ভয়ঙ্কর? উত্তর মহাসাগর এত রহস্যময় কেন? কি আছে এখানে? যার কারণে মানুষ এত ভয় পায়?

উত্তরমহাসাগর মূলত আটলান্টিক মহাসাগরেরই একটি অংশ। যেটি রয়েছে গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর-পশ্চিম ইউরোপীয় মূল খন্ডের মাঝে। মূলত শিপিং আর মাছ ধরার জন্য এই সাগরটা বিখ্যাত। এর সীমান্তবর্তী দেশের তালিকায় রয়েছে নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য। উত্তর সাগরের উত্তর উপকূলটা একটু এবড়ো খেবড়ো। একে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বিপ্পজনক সমুদ্রের একটি। কারণ একটাই। ভয়াবহ প্রাকৃতিক পরিবেশ। আবার মাঝে মাঝে দেখলে মনে হবে, যেন ঘিরে রেখেছে কুয়াশাচ্ছন্ন শীত। কিন্তু অবাক করার বিষয়টা কি জানেন, এই সমুদ্রের বেশিরভাগটাই অগভীর। কিন্তু স্রোত গুলো ভীষণ শক্তিশালী। ভাইরাল ভিডিওতে যে উত্তর সাগর আপনি দেখছেন সত্যি কি এমনটা? আসলে বলা হয়, উত্তর সাগরের তরঙ্গ বা ঢেউ উচ্চ হতে পারে কিন্তু সেগুলো সর্বোচ্চ নয়। এই তরঙ্গগুলো মূলত উত্তর আটলান্টিক বা আইসল্যান্ডের উপকূলে গিয়ে অনেক বড় আকার ধারণ করে। উত্তর সাগরের একেকটা ঢেউ প্রায় উঁচু হতে পারে ৬৫ ফুট পর্যন্ত। আর ভীষণ খামখেয়ালী। যখন তখন বদলে যায় প্রাকৃতিক পরিবেশ। এলোমেলো ঢেউয়ের কারনেই ক্যামেরায় ধরা দেয় এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। তার সাথে রয়েছে এই বিভিন্ন সিনেমা থেকে নেওয়া সাউন্ড ট্র্যাক।

উত্তরসাগর নিয়ে যতই রটনা থাকুক না কেন, বাণিজ্যিক দিক থেকে কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যুগের পর যুগ ধরেই উত্তর সাগর বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ। আর আশপাশের দেশগুলোর মূল্যবান সম্পদের ভান্ডার। কিন্তু অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি বর্তমানে এর পরিবেশগত অবস্থা ভীষণ হুমকির মুখে। গড়ে গভীরতা মাত্র ১০০ মিটার। কিন্তু কোন কোন এলাকায় গভীরতা ৭০০ মিটার পর্যন্ত আবার কোথাও গভীরতা মাত্র ১৫ মিটার। অবস্থিত তিনটি ভুগাঠনিক প্লেটের সংযোগস্থলে। এখানে ভূমিকম্প কিংবা ক্ষুদ্র আকারে সুনামি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।এখানে প্রচুর বন্দর রয়েছে। যেখানে জাহাজ ভেড়ে নানা পণ্য নিয়ে। এখানে মূল শিল্পটাই হল মাছ ধরা। এছাড়াও এখানে রয়েছে পেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাসের ড্রিলিং।

 

প্রসঙ্গত বলে রাখি, পৃথিবীর এই উত্তর মেরু অঞ্চলেই আছে বরফের সমুদ্র। গোটা পৃথিবীর জলবায়ু স্বাভাবিক রাখতে যার ভূমিকার কোনো তুলনাই হয় না। ২০২০ সালে এই সাগরেই দেখা দিয়েছে সব থেকে বড় একটা গর্ত। পূর্বাভাস বলছে, ঘনিয়ে আসছে বিপর্যয়। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে যদি এর বরফ গলতে থাকে তাহলে হুমকির মুখে পড়বে সামুদ্রিক পাখি, শীল, পোলার বিয়ার সহ মেরু অঞ্চলে থাকা সমস্ত প্রাণীর বাস্তুসংস্থান। সামুদ্রিক ভারসাম্যটাই হারিয়ে ফেলবে গোটা পৃথিবীর জলবায়ু।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here