প্রযুক্তি আমাদের পরস্পরের থেকে দূরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যাঁরা এই মতামতে বিশ্বাসে, তাঁদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে প্রযুক্তিকেই সহধর্মীনী হিসেবে গ্রহণ করেছেন জাপানের আকিহিকো কনডো। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন এক হলোগ্রামকে। কনডোর স্ত্রীর নাম হাতসুনে মিকু। স্ত্রী হলেও, যার কিনা আসলে কোনও অস্তিত্বই নেই। তবে কনডোর এই বিবাহ তাঁর পরিবারের তরফে মেনে নেওয়া হয়নি।
‘মায়ের কাছে এটা কোনও ভালো খবর না। তাই দিনটা উদযাপন করার কোনও উদ্যোগও নেওয়া হয়নি পরিবারের তরফে’, জানিয়েছেন কনডো। তবে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০ জন অতিথি হাজির হয়েছিলেন। এবং সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে এই বিয়েতে। মজার কথা, বিয়ের অনুষ্ঠানে কন্যা নিজেও হাজির ছিলেন না। কারণ তাঁর তো কোনও শারীরিক উপস্থিতিই নেই। তবে তাঁর বদলে রূপক হিসেবে হাজির করা হয়েছিল একটি পুতুল।
কেন এমন এক বিয়ে? কনডো জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী কখনওই তাঁকে ছেড়ে যাবে না। এবং কখনওই লুকিয়ে অন্য কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জরাবে না। এমন স্ত্রীই তো সবাই চান। তবে শুধুমাত্র স্ত্রী নন, কনডো জানিয়েছেন, তিনি নিজেও কখনও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। ‘হাতসুনে মিকুর কনসেপ্টটাই আমার খুব পছন্দের। প্রথম থেকেই আমি ওর প্রেমে পড়ে গিয়েছি’, জানিয়েছেন তিনি। তবে কনডোর এই বিয়ে জাপানে নতুন এক দিক খুলে দিয়েছে। এই বিয়ের পরেই ৩৭০০ আবেদন পত্র জমা পড়েছে নির্দিষ্ট দফতরে। সকলেই চান হলোগ্রামকে বিয়ে করতে।