” নিত্য কাজের মাঝে একটু অবসর , আর তাই শান্তির নীড়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার টানে ,
কলকাতা নয় , প্রাকৃতিক অবয়বে চলুন ঘুরে আসি আসল ডালহৌসি “
মনোরমের পরিসর যদি পাহাড় হয় তবে কি মনন শূণ্য ঘেরা আবেগের সাথে একীকরণের ভূমিকা নেবে না? নাকি জীবনের নিত্য ঘটে যাওয়া কাজের সাথে অভিজ্ঞতা আর সৌন্দর্য ফিরে মন ফকিরার টানে বাউল হবে না , এমন আবার হয় নাকি ? মনের চলন তাই বাস্তবের নিত্য গণ্ডী জীবন ছেড়ে আনন্দ আর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার আলিঙ্গনে একবার ফিরে চাওয়া।
- ইতিহাস
সেই ১৮৫৪ সাল , সময় বলছে ব্রিটিশের করায়ত্ব আমার দেশ ।মহাবিদ্রোহের প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে ।তবে সেনাবাহিনীর নিত্য সংঘাত জীবনের একটি স্বস্থি আর মনের আরোগ্য সেটা তো বিলাসিতা হতে পারে না ! তাই সরকারি পদাধিকারীদের একটা গ্রষ্মকালীন স্বস্তির প্রয়োজন , এটা কিন্তু অমূলক নয় ।আর তার জন্য এই পওন। তবে সেই অবকাশ কি জনসাধারণ পাবে না ? নিশ্চই , তবে সেটা সময়ের মধ্যে বাঁধা । আসলে মনোরম পরিসরে স্বস্তি একটু অনন্য ইতিহাসের একপ্রেক্ষিত হবে না সেটা বলে বাহুল্য মাত্র হবে ,তবেই তার সার্থকতা ।
- সৌন্দর্য
এককথায় ডালহৌসি হিমাচল প্রদেশের একটি পাহাড়ী স্টেশন। ডালহৌসি, ভারতের হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত একটি শান্ত শহর এবং অপেক্ষাকৃত এক শান্ত অবকাশ অন্বেষণকারী স্থান হিসাবে পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। পশ্চিম হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায় অবস্থিত। এটি পাঁচটি পাহাড় , কালাঘাট , পট্রেন তেরা ,বাকরোটা , ভঙ্গোরার উপর নির্মিত। । তাহলে পাহাড়ের ঘেরা জীবনের সেই ভালোর জগতে একবার ঘুরে আসি সৌন্দর্যের বাহারে।
- বিস্তৃতি
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০০ – ৯০০০ উঁচুতে যার স্থিতি ,, তুষরাবৃত পর্বত শৃঙ্গের বেষ্টন,
তার অবয়ব সাথী হতে ক্ষতি কি ? কারণপ্রকৃতির সুরাবেশ হয়ত আদ্য , মধ্য , অন্ততেই অবস্থান করছে ।
তাই শান্তিতে পেতে এ এক অনবদ্য ফুলেল আহ্বান।
কিন্তু এই ফুলেল অনুভূতি পেতে গেলে একবার জেনে নি তবে কি ভাবে যাবো , তাই না ?
- পর্যটন:
মে থেকে সেপ্টম্বর পর্যন্ত এর আতিথ্য গ্রহন যথার্থ ।স্কটিশ ও ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যে বাংলো ও গির্জা এই শহরের বিশেষ দ্রষ্টব্যের নিদর্শন । স্থানটি কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেতে বেশেষ করে পর্যটনের জন্য বিখ্যাত ।এখানে পরিসংখ্যান বলছে যে অনেক হোটেল , বাংলো , স্বাধীন ভিলা জনসাধারণের জন্য যথাযথ । বেশ কিছু হটেল বর্তমানে গড়ে উঠেছে । তবে আর দেরী কিসের , একবার ঘুরে আসাই যায় ।স্থান্টিতে ৬০০ বেশী হটেলে বিদ্যমান ।পরিসংখ্যান বলছে প্রতিটি বছর ৫০০০, ৬০০০ কর্মের প্রাথমিক সংস্থান দিচ্ছে ,সেটাই বা কম কি , তাই না ? বিষ শতকের GDP বলছে ১১০%।
- আকর্ষণীয় স্থান:
ডালহৌসিতে অনেক আকর্ষণীয় স্থান আছে , যেমন , অ্যালার কাছাকাছি স্থান , আলুর ক্ষেত্র হিসাবে বিখ্যাত । উল্লেখ্য যে , কেরলানু এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের জীবনের সাথে যুক্ত । শোনা যায় নেতাজী নিজে যখন যক্ষ্মায় ভুগছিলেন , তখন বসন্তের এমন হাওয়াবদল আর কেরলানুর জলে আপন সজীবতা ফিরে পান । আর উল্লেখ্য বলতে , দীনকণ্ড পিক , বাক্রোটা পাহাড় , গ্রাম লোহালী ,সদর বাজার , টিবেটান মার্কেট, দিনকণদ শিখর ,ফোলানি দেবীর মন্দির ইত্যাদি
কিন্তু, যাবেন কি করে ?
- পৌঁছানোর উপায় :
বিমান মাধ্যমে…
যদিও একথা সত্য যে ডালহৌসিতে নিজস্ব কোন বিমানবন্দর নেই ।কিন্তু ডালহৌসি থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শহরে আছে যা নিউ দিল্লীর সাথে কেবলমাত্র যুক্ত। দ্বিতীয় নিকটতম বন্দর গাগাল এয়ারপোর্ট যা কংগোরা জেলায় অবস্থিত ।এটি ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ।
রেল মাধ্যমে…
ডালহৌসির নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল পাঠানকোট। পাঠানকোট জংশন, ভারতের প্রায় সমস্ত প্রধান শহরগুলির সঙ্গে ডালহৌসিকে সংযুক্ত করে রেখেছে এবং এটি ডালহৌসি থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শহর থেকে গাড়ির মাধ্যমে রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে।
সড়ক মাধ্যমে…
বাসে যেতে হলে দিল্লী থেকে প্রায় ৫৯০ কিলোমিটার বজাবেবহুল বাসে গেলে আমাদের সেই স্বর্গভূমি ।এছাড়া বেসরকারী সংস্থা ট্রান্সপোর্ট বেশ কিছু বাসের ব্যবস্থা করেছে ।ডালহৌসি, সু-পরিচর্যিত সড়কের মাধ্যমে এই অঞ্চলের সমগ্র প্রধান শহরগুলির সাথে সু-সংযুক্ত রয়েছে, বিশেষ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সঙ্গে। এখানে বেশ কিছু সংখ্যক বাস রয়েছে যেগুলি কাছাকাছি সমস্ত প্রধান শহরগুলির মধ্যে যাতায়াত করে।
- ডালহৌসি ভ্রমণে যাওয়ার সময় কি ধরণের পোশাক নিয়ে যাওয়া উচিত?
গ্রীষ্মকালে এই শহর পরিভ্রমণে গেলে, যেহেতু রাত্রিতে ঠান্ডা থাকতে পারে, তাই ভ্রমণার্থীদের হালকা পশমী পোশাক বহন করা উচিত। শীতের সময়ে গেলে বেশ ঠান্ডা পেতে পারেন এবং সেইজন্য এইসময় ভারী পশমী পোশাক নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- ডালহৌসি-তে খাওয়ার কি রয়েছে?
ডালহৌসি-তে রেস্তোঁরার প্রধান খাবার হল মোমো (ডাম্পলিংস)। বার্গারের জন্য, কোয়্যালিটি রেস্তোঁরার দিকে এগিয়ে যান এবং বেশ কিছু অদ্ভূত খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে নাপোলিতে আসুন। একদিকে চৌগান রেস্তোঁরা ছাম্বার বিশিষ্ট খাবার পরিবেশন করে, অন্যদিকে ক্যাফে ডালহৌসি-র খাদ্য-তালিকায় প্রায় প্রতিটি ভারতীয় ও চীনা খাবারের সু-বন্দোবস্ত রয়েছে।
- সংস্কৃতিতে স্থানের ঐশ্বর্য
প্রবেশ পথেই ইতিহাস । রাজবংশ নাড়া দিচ্ছে স্থানের আদি নামের প্রকরণে । আর সংস্কৃতি ? সে তো চলছে ,যেমন করে ভারতে শিল্প সমন্বয়ন ঘটেছিল সংস্কৃতির টানে , অনুরূপে আলাপ সমাকর্ষণে। প্রকৃতি যখন প্রাচীনত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় তখন সেই উপজাতি মানুষগুলিকেও তার অনঙ্গ ভাবের অংশী করবে না তা কি কখনও হয় ? তারা যে তাদের প্রতীকী । আর সংকেত কি তার বহির্দেশের অবয়বের অংশী হতে পারে ? না প্রকৃতির সাথে নাড়ী অনুভূতিত টান গ্রহণ করব সেই স্বার্থেই তো আলাপ করছি আজ । জনমানবের সাথে ঐতিহাসিক মন্দির গুলির ভগ্নাংশ সেই অতীতচারী করে, এখানেই হয়ত লালিত্যের ভাবার্থ আর সার্থক পরিণমন ।