বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ উৎসবের রাশ কার হাতে থাকবে? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ এই প্রশ্ন তুলে ধরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন পড়ুয়া। তাঁদের অভিযোগ, গত ২১ এবং ২২ মার্চ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। বরাবর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসেছেন পড়ুয়ারা অথবা ছাত্র সংসদ। এটাই রীতি ছিল। কিন্তু এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফ্রেশার্স ওয়েলকামের আয়োজন করেন। পড়ুয়াদের বাদ দিয়ে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান হওয়ায় দুই পড়ুয়া আদালতের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্ট আপাতত রাজ্য সরকারকে এই মামলায় পক্ষ করার নির্দেশ দিয়েছে।
নবীনবরণ নিয়ে এমন দিন দেখতে হবে তা ভাবতেও পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একতরফা পথে হেঁটে নবীনবরণের সব দায়িত্ব পড়ুয়াদের থেকে কেড়ে নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসারদের হাতে। এত বড় সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি অনুযায়ী সেটা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থা, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল কোথাও আলোচনা করা হয়নি। উলটে ফ্রেশার্স ওয়েলকামের আয়োজন করতে মোট ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখানে অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে অনেকে টাকা কামিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি প্রার্থীকে ভোট না দিলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, অরুণাচল প্রদেশের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তদন্তে নির্বাচন কমিশন
এদিকে এই অভিযোগ নিয়ে এখন তোলপাড় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নবীনবরণের অনুষ্ঠানে প্রাক্তনীদের উপস্থিতি নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক যাঁদের রয়েছে তাঁদেরকেই ওই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল। এখানে এমন প্রাক্তনীরাও ছিলেন যাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে তফসিলি উপজাতির এক মহিলা অধ্যাপককে জাতিবিদ্বেষী হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। ফ্রেশার্স ওয়েলকামের রাশ পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে এখন ক্যাম্পাসে কোনও নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেই।
অন্যদিকে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় নবীনবরণের দায়িত্ব পড়ুয়াদের দেওয়া হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের নির্দেশে অফিসারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। প্রত্যেকটি কাজ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। প্রত্যেকটি টাকা খরচের হিসেব–সহ কাগজপত্র রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে পড়ুয়াদের মামলা আসলে একটি ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসারদের সূত্রে খবর। তবে ইসি’তে আলোচনা হয়নি।
খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন
নয়াদিল্লি: জেল থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী…
মুর্শিদাবাদে রামনবমীর হিংসায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে এই…
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কত সম্পত্তি এনিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে নানা জল্পনা। তাঁর বাড়ি, গাড়ি নিয়ে নানা…
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও জামিন মিলল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁর…
ডেস্ক: দিল্লির আদালতে বড়ো ধাক্কা খেলেন ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তাঁর…
শহর কলকাতায় ফের সাত সকালে এক তরুণীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তরুণীকে লক্ষ্য করে একদল যুবক…