[ad_1]
এবার আয়কর দফতরের চিঠি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন তাঁরা তিহার জেলে বন্দি। কিন্তু তার মধ্যেই তাঁদের বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে এসে পৌঁছল এই নোটিশ। কেষ্ট ও তাঁর কন্যার নামে যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তাতে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই আয়কর দফতরের অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
এদিকে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর, আয়কর দফতর এবং ব্যাঙ্কের নজরদারি থেকে গা বাঁচাতে নানা কৌশল নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ইডির তদন্তে উঠে আসা এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন আয়কর দফতরের অফিসারদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। যে পরিমাণ আয় অনুব্রত করতেন, তার থেকে অনেক কম আয়কর জমা দেওয়া হতো। ওই বিষয়েই এবার কারণ জানতে চেয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়িতে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠিয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির বেশিরভাগই ছিল বেনামে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, যে নথি মিলেছে তারই ভিত্তিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গরুপাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগস্ট বীরভূমের বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজত শেষে আসানসোল জেলেই ছিলেন কেষ্ট। পরে আদালতের অনুমতিতে অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে যায় ইডি। পরে মামলাও স্থানান্তর করা হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। আদালতে সুকন্যার আইনজীবী দাবি করেন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি সুকন্যাকে যে কাগজে সই করতে বলতেন, তিনি সেখানে সই করতেন। এর বেশি কিছু জানতেন না। আদালতে পাল্টা ইডির দাবি, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে।
আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গ উন্নত শিরে দাঁড়িয়ে আছে’, শিলিগুড়ি থেকে একাধিক প্রকল্প ঘোষণা মমতার
এছাড়া অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আয়কর নোটিশের বিষয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধী শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল যে সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন, তাঁকে ছোটখাটো সম্রাট বলা চলে। তৃণমূল আমলে আমরা অনেক সম্রাট বাংলায় দেখলাম। এঁরা যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে এক একজন লক্ষ্মণ সেনের বংশধর।’ চালকল থেকে শুরু করে নানা সংস্থা রয়েছে সুকন্যার নামে। স্কুল শিক্ষিকা হলেও অনুব্রত কন্যার সম্পত্তি কোটি কোটি টাকা। এই বিপুল সম্পত্তির কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে। তাই এবার আয়কর দফতরের নোটিশ পেলেন জেলবন্দি বাবা–মেয়ে।