[ad_1]
পাহাড়ি খাবার মোমো… তারই প্রেমে মশগুল বাঙালি। চিকেন থেকে ভেজ, পনির থেকে চকোলেট সব ধরনের মোমোই পাওয়া যায়। কিন্তু বাঙালি ভোজনরসিকরা এখনও বোধহয় পেঁপের মোমো চেখে দেখেননি!
এই বিশেষ নিরামিষ মোমো পাওয়া যায় অসমে। বলা ভাল অসমের এক বিক্রেতা এই বিশেষ মোমো তৈরি করেই পরিচিত হয়েছেন এলাকায়। পেঁপে দিয়ে তৈরি— এমন কথা শুনে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু একবার চেখে দেখলে, এই স্বাদ ভোলা মুশকিল।
অসমের বক্সা জেলার মুসলিমপুর-নিকাশি সংযোগকারী রাস্তার উপরেই বসে এই বিশেষ মোমোর দোকান। গোটা এলাকাটিই এখন বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে, পেঁপে-মোমোর সৌজন্যে। এমনকী নানা জায়গা থেকে যে সমস্ত পর্যটকরা আসেন বাক্সার দ্বারাগাঁও এবং ভারত-ভুটান সীমান্ত পরিদর্শন করতে তাঁরাও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যান মোমোর দোকানের সামনে। ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যাবেলা ফেরার পথে অনেকেই রসনাতৃপ্তি করে নেন এই মোমো দিয়ে। আর তাঁদের খাইয়েই খুশি সুয়ানখাতার বাসিন্দা রাম তামাং। নেপালি এই যুবক গত ১১ বছর ধরে বানাচ্ছেন পেঁপের মোমো।
রাম বলেন, ‘একবার চেখে দেখলে আর ভুলতে পারবেন না। শুধু মোমোর টানেই আবার ফিরে আসতে হবে এখানে।’ তবে রামের দোকানে শুধু পেঁপে মোমোই নয়, পাওয়া যায় অন্য খাবারও।
হোটেল, মোটেল এবং রেস্তরাঁ-তিন জায়গাতেই খাবার পাওয়া যায়, তাহলে পার্থক্য কোথায়? জানুন
নেপালি পরিবারের সন্তান রাম মোমো তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। সকাল থেকেই শুরু হয় তাঁর কর্মকাণ্ড। পর্যটন এলাকা হওয়ায় প্রতি সন্ধ্যায় তাঁর দোকানে যাঁরা ভিড় জমান তাঁরা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা নন। বরং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ চেখে দেখেন রামের তৈরি মোমো।
সকালে বাজার থেকে পেঁপে কিনে আনেন রাম তামাং। তারপর শুরু হয় রান্নার কাজ। পরিবারের মহিলারাও তাঁকে সাহায্য করেন। মুসলিমপুর থেকে নিকাশি যাওয়ার রাস্তার উপর সুভানখাতায় রাম তামাংয়ের ফাস্ট ফুডের দোকান রয়েছে।
আসলে পেঁপে শরীরের পক্ষেও খুব উপকারী। তার উপর মোমোর মতো সুস্বাদু খাবার যদি পাওয়া যায়, তবে তো সোনায় সোহাগা। বিশেষত যাঁরা আমিষ খান না তাঁদের কাছে এই মোমো দারুণ পছন্দের। মোমোর পাশাপাশি রাম পেঁপে এবং বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি করে নেন একটি বিশেষ স্যুপও।
Tags: Assam, Momo