ব্রিগেড থেকে জনগর্জন সভায় একধাক্কায় ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জনতার দরবারে দাঁড়িয়ে এভাবে প্রার্থী তালিকা কোনও রাজনৈতিক দল আগে ঘোষণা করেনি। রাজ্য–রাজনীতিতে এমন নজির নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি এখনও ৪২টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। প্রথম দফায় যে ২০টি নাম ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে থেকে একজনকে তুলে নিতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখন ২৩ জনের নাম ঘোষণা করতে হবে বিজেপিকে। এই ব্রিগেডের সভা থেকে ঘোষণা করা হয়েছে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে কীর্তি আজাদকে। আর তাতেই চাপে পড়ে বিজেপি বহিরাহত তকমা দিতে শুরু করেছে।
এদিকে কীর্তি আজাদ বিশ্বকাপজয়ী টিমের সদস্য। এই প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকেই বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের লোকসভার প্রার্থী করার পিছনে বিস্তর অঙ্ক আছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে বিজেপির তোলা বহিরাগত তকমা খারিজ করে দিলেন কীর্তি আজাদ। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বহিরাগত তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে কপিল দেব এবং বিশ্বকাপ জয়ের কথা শোনা যায়। তারপর এই প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি বাংলা বুঝতে পারি। কপিল দেবের টিমের সদস্য হিসেবে যখন দেশের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছিলাম তখন কোনও নির্দিষ্ট অংশের জন্য নয়, গোটা দেশের জন্যই সেটা এনেছিলাম। সেক্ষেত্রে আমি বহিরাগত হলাম কী ভাবে?’
আরও পড়ুন: ‘ওইরকম সুন্দর মুখ দেখে আর ভোট দেবে না’, জুন মালিয়াকে সরাসরি কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
অন্যদিকে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে আগে বিজেপির সাংসদ ছিলেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তবে তাঁকে এখানে পাওয়া যেত না বলে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। শুধু তাই নয়, পাঁচ বছরে এখানে তিনি কি কাজ করেছেন তার খতিয়ান দিতে পারবেন না বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। তাছাড়া এবার বিজেপির ওই সাংসদ টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এখানে যে হিন্দি বলয় আছে সেখানের মানুষজনের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তাছাড়া এখানের মানুষজন রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প পেয়েছেন। সেদিক থেকে কীর্তি আজাদ জিতে সংসদে যেতে পারেন বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস।
এছাড়া রবিবার রাতে কলকাতা থেকে বর্ধমানের কার্জন গেটের বিধায়ক অফিসে যান কীর্তি আজাদ। সেখান থেকেই নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। কীর্তি আজাদের বক্তব্য, ‘আমি মিথিলাঞ্চলের লোক। মৈথিলী একটা প্রাচীন ভাষা। আমাদের রীতিনীতি অনেকটা মেলে বাংলার সঙ্গে। বাকিটা শিখে নেব। কোনও রাজ্যের নয় আমি দেশের হয়ে খেলেছি। নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের বাসিন্দা। কিন্তু তিনি বারাণসী থেকে ভোটে লড়েন। মানুষের কথা সাংসদই শুনবেন। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা সাংসদই শুনবে। গোয়া থেকে আমি লড়ছি না। তবে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন করি। বিজেপি এই কেন্দ্রে মাত্র একবারই জিতেছে। তাই এই নিয়ে আলাদা ভাবনা নেই। জয়ী হলে দুর্গাপুর বর্ধমানের মানুষের জন্য কাজ করব।’
খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন
লোকসভা ভোটের প্রচারে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ করে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ…
মা উড়ালপুল দিয়ে বিপুল পরিমাণ গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। এটা শহরের ব্যস্ততম উড়ালপুল। এই উড়ালপুল…
প্রযুক্তি ব্যবহারের জেরে শহরে বেড়েছে ইলেকট্রনিক আবর্জনা। এটাকেই অনেকে ই–বর্জ্য বলে থাকেন। শহরের প্রায় প্রত্যেকটি…
রবিবার সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে পাঁশকুড়া ছাড়ে দিঘা লোকাল। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হেঁড়িয়া ও…
উত্তরবঙ্গে এখন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কারণ পার্বত্য এলাকা–সহ পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি দেখা…
চোরা শিকারিদের হাতে খুন হলেন এক বনকর্মী। রাতে টহল দেওয়ার সময় হামলা চালায় এক দল…