Home আপডেট ‘‌আশা আছে বাংলা বিমুখ করবে না’‌, লোকসভা নির্বাচনের আসন সংখ্যা নিয়ে দাবি দিলীপের

‘‌আশা আছে বাংলা বিমুখ করবে না’‌, লোকসভা নির্বাচনের আসন সংখ্যা নিয়ে দাবি দিলীপের

‘‌আশা আছে বাংলা বিমুখ করবে না’‌, লোকসভা নির্বাচনের আসন সংখ্যা নিয়ে দাবি দিলীপের

[ad_1]

‌লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গ সফরে এসেছেন অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডা। আজ, মঙ্গলবার দিনভর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে দুই নেতার। ইতিমধ্যেই মহাত্মা গান্ধী রোডের গুরুদ্বারে পুজো দিয়ে কালীঘাটে মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের সামনে কত টার্গেট রাখবে? সেটা নিয়েই চাপে আছে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কারণ একবার ৩৫ সংখ্যা বলে তা আর প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেননি অমিত শাহ থেকে জেপি নড্ডা। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের বেঁধে দেওয়া টার্গেটের কাছেই পৌঁছেছিল বঙ্গ–বিজেপি। বিধানসভায় লক্ষ্য থেকে বহু দূরে থেমে গেলেও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আবার একবার কাছেই পৌঁছবে বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ।

এদিকে ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ খোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিমিক্রি নিয়ে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‌মানুষের বয়সের এবং শিক্ষার সঙ্গে পরিবর্তন আসে। সব কিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। কার সম্পর্কে কোথায় কী বলছেন। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হয়তো ওনারা হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতিনিয়ত এরকম কেন ঘটছে? এটা কারও জীবন পদ্ধতি হতে পারে। সমাজ কি এটা মেনে নেবে? আমাদের পরের প্রজন্মের কাছে এটা কি কোনও ভাল উদাহরণ?’‌ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্ট্র্য়াটেজি কী হবে? কেমন হবে রণনীতি? বেশি জোর দেওয়া হবে কোন কেন্দ্রগুলিতে? প্রার্থী বাছাই কেমন হবে?এই সমস্ত বিষয় নিয়ে শাহ–নড্ডার সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে আলোচনায় বসার আগেই যেন বার্তা পাঠিয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এই আসন সংখ্যা নিয়ে দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, ‘‌দল এই রাজ্যকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ নেতা, বিশেষত অমিত শাহ, যাঁর নেতৃত্বে বিজেপি এই রাজ্যে বেড়ে ১৮টি আসন পেয়েছে। তিনি বারবার রাজ্যে আসেন। সঙ্গে সভাপতিও এসেছেন। এই দলের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে। সব সময় টার্গেট একটু বেশি বেঁধে দেন। আগেরবার ২২ দিয়েছিলেন। আমরা ১৮টা করে দেখিয়েছি। আশা আছে বাংলা বিমুখ করবে না। তাই বারবার আসছেন। মাঝে কয়েক বছর লাগাতার অত্যাচারে কর্মীরা মনোবল হারিয়েছে। সেটা ফেরাতেই তাঁদের বারবার আসা।’‌

আরও পড়ুন:‌ পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেল ইডি

এছাড়া ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে। লোকসভা নির্বাচনে স্ট্র্য়াটেজি ঠিক হবে এখানে। তবে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য অন্য কৌশল দেখছেন রাজ্য নেতারা। সেটা হল, দিলীপ ঘোষ এখন রাজ্য সভাপতি নন। আর সর্বভারতীয় সভাপতি পদও নেই তাঁর। এখন তিনি কেবলই সাংসদ। আর এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতাদের কান ভারী করার জেরেই। সেটা তিনি জানেন বিলক্ষণ। তাই টার্গেট যদি বেশি হয় আর সেটি যদি পূরণ করতে বঙ্গ–বিজেপি নেতারা না পারেন তাহলে দিলীপ ঘোষকে কেউ দোষ দেবে না। দিলীপ ঘোষ নিজের আসনটি জিতলেই হল। বরং তিনি বলতে পারবেন আগেই জানানো হয়েছিল সংগঠন তলানিতে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here