Home আপডেট পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেল ইডি

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেল ইডি

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেল ইডি

[ad_1]

‌পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি। এবার এটা নিয়ে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। যদিও তদন্তে নেমে ধরপাকড় করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ইডি। সেটা লোকসভা নির্বাচন যত আসবে গতিপ্রকৃতি সেই পথ বাতলে দেবে। তবে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, কয়লা–গরু পাচারের অভিযোগে একের পর এক গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের। তাতে রাজনৈতিকভাবে বিজেপি খুব একটা লাভবান হয়নি। এবার একাধিক পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্কও ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ইডি অফিসাররা।

ইডি সূত্রে খবর, বেশ কিছু নথি হাতে এসেছে যা দুর্নীতির সাক্ষ্য বহন করছে। এমনকী প্রায় দু’হাজার বেআইনি নিয়োগের তথ্যসূত্র হাতে এসেছে। মজদুর থেকে শুরু করে ক্লার্ক, কম্পিউটার অপারেটর পদে বেআইনি পথেই নিয়োগ হয়েছে। আর এই চাকরি দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। সেটাই তদন্ত করতে নেমে দুর্নীতির অঙ্ক প্রায় ১০০ কোটি ছাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ পুরসভায় এই সমস্ত চাকরি স্থায়ী সরকারি চাকরি। সুতরাং সেটা পেতে টাকা দিতে পিছিয়ে আসেননি কেউ। এখান থেকেই যে তথ্য এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, যার সঙ্গে যেমন কথা হয়েছে তেমন অর্থ নেওয়া হয়েছে। তাই সংখ্যা এমন জায়গায় পৌঁছতে চলেছে।

এদিকে এই টাকার অঙ্ক যে শুধু অনুমানের উপর দাঁড়িয়ে আছে তা নয়। তার সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ পর্যন্ত হাতে এসেছে। একাধিক পুরসভায় তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা নথি সেই তথ্যপ্রমাণ দিচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সেখান থেকেও বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। তারপর নথির সঙ্গে বক্তব্য মিলিয়ে দেখে একটা জায়গায় আসা গিয়েছে। আর তার ভিত্তিতেই ১০০ কোটির হিসাব মিলেছে। কামারহাটি, বরাহনগর, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, কাঁচরাপাড়া–সহ ১৪টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য হাতে এসেছে। এছাড়া গোটা রাজ্য ধরলে প্রায় ৭০টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি করা হয়েছে বলে ইডির দাবি।

আরও খবর:‌ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্যপাল, বেআইনি সমাবর্তন নিয়ে মামলার উদ্যোগ

অন্যদিকে এই কাজে প্রভাব খাটানোর তথ্যও এসেছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে আমলা অনেকেই প্রভাব খাটিয়েছেন চাকরি পাইয়ে দিতে। তবে তাঁদের কাছে কেমন করে টাকা পৌঁছেছে সেটা এখন তদন্তের বিষয়। তবে বেআইনি পথে চাকরি পাইয়ে টাকা নিয়ে তা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় খাটানো হয়েছে। যাতে কালো টাকা সাদা হয়ে ফিরে আসে। আর এই কাজ করতে কাজে লাগানো হয়েছে একশ্রেণির প্রোমোটারদের। তাতে দু’‌পক্ষেরই লাভ হয়েছে। প্রোমোটার একটা কমিশন পেয়েছে। আর কালো টাকাও সাদা হয়েছে। তাই এখন নানা পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অফিসারদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অয়ন শীল তুরুপের তাস হতে পারেন। কারণ তাঁর বাড়ি থেকেই নথি মিলেছিল পুরসভা দুর্নীতির। তবে এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত প্রভাবশালীদের তলব করা হবে বলে সূত্রের খবর।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here