[ad_1]
ইজরায়েলর যুদ্ধে মোদীর কাছে ইরান বড় সাহায্য চাইল। ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে সাহস দেখাতে পারেনি তেহেরান দেখালো। কূটনৈতিক বন্ধু ইরানের কথা কি ফেলতে পারবে দিল্লি? ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে এবার ময়দানে ভারতবর্ষ। ইরান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিযুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে এমন কী চেয়ে বসলেন ভারতের থেকে? যুদ্ধের মধ্যে দ্বিতীয়বার ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা নমোর। এবার প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বললেন রাইসি? যুদ্ধ শুরুর পর পরই জানা গিয়েছিল হামাসের হামাস হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে ইরানের লম্বাচওড়া হাত। এখন গাজার ওপর ইজরায়েলের নির্বিচারে অত্যাচার থেকে শেষে ভারতের দ্বারস্থ হল ইরান? মনে রাখতে হবে এই যুদ্ধে আমেরিকা বারবার চোখ রাঙাচ্ছে ইরানকে। তাহলে এবার কি দিল্লিকে আমেরিকার বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তাব নাকি হামাসের হয়ে ভারতকে এবার সাহায্য করতে হবে।ভারতের প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রের বড় বন্ধু ইরান আসলে কি চাইছে?
এনডিটিভির রিপোর্ট বলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন রাইসি। এরপর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইরান। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ত্রাণ ও পণবন্দিদের স্বার্থে এবার গাজায় ‘কৌশলগত বিরতি’র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি আসলে গাজার যা দুরাবস্থা গাজ়ায় ইজরায়েলি সেনার হামলায় নিহত প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।গাজায় ত্রাণ সাহায্য পৌছনোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। তাই সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো ও পণবন্দিদের বেরিয়ে আসার পথ প্রশস্ত করার জন্য সম্ভবত এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানইয়াহু।তবে তাঁর ওপর যে মুসলিম বিশ্ব খুব একটা ভরসা করতে পারছে না তা ইরানের বক্তব্য শোনার পর পরিস্কার হয়ে গেল। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে গাজা যুদ্ধ থামাতে ইরান আসলে চেয়েছে ভারতের সাহায্য। হ্যাঁ তেহেরান চাইছে এই যুদ্ধ থামাতে ভারত পুরোপুরি সব শক্তি লাগিয়ে দিক।
দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার ফোন কথোপকথনের পর যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে সেখানেই রাইসির মন্তব্য উল্লেখ করে বলা হয় গাজার নিপীড়িত মানুষের উপর ইহুদি অন্যায় শেষ করা দরকার। তার জন্য নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে ভারত। সেটাই আশা করছে ইরান। প্যালেস্তিনীয়দের যেভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে তা দেখে সমগ্র বিশ্ব ক্ষুব্ধ এই হত্যার প্রভাব পড়বে একাধিক জায়গায়। প্রশ্ন উঠছে এবার ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি? ভারত কি আগ বাড়িয়ে যাবে ইজরায়েল যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী হতে? এদিকে সূত্রের খবর ইজ়রায়েলি হামলায় সাধারণ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদীও। সেই সঙ্গে রইসকে তিনি জানিয়েছেন হামাসের হামলার নিন্দা করলেও নয়াদিল্লি তার পুরনো অবস্থান অনুসরণ করেই প্যালেস্তাইনের জনগণের পাশে রয়েছে।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই ইজরায়েল প্যালেস্টাইন দ্বন্দ্বে দুই রাষ্ট্র সমাধান নীতির কথা জানিয়ে ছিল ভারত। এবারও তার অন্যথা হয়নি। ইরানকে দিল্লি পরিস্কার জানিয়ে দিল ঠিক কী চাইছে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে মোদী ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন ভারত চায় ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। এছাড়াও দুই নেতার মধ্যে কথোপকথনের সময় ভারত এবং ইরানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়