ইভান ত্রোপোস্কি বাংলাতে বাসা বেঁধে ইভান ত্রোপোস্কি, শুধোন সন্ধ্যেবেলা “হয়েচে প্রদোষ কি?” রাশিয়ান ভুলে গান ঠুমরী ও টপ্পা, জিমনাস্টিক ছেড়ে খেলে হুস ধাপ্পা। পরেন কোঁচানো ধুতি পাঞ্জাবি আদ্যির, আদতে যে ভিনদেশী বোঝে কার সাধ্যি। বলেন বারণ নাকি ব্যান্ডেল চার্চে, ফিতেবাঁধা বুট, পরো স্যান্ডেল তার চে। নিত্য ভাতের সাথে চাই তাঁর শুক্তো, বেনারসি পান খেয়ে পান বড় সুখ তো। পাড়ার রোয়াকে বসে তিনবেলা খান চা, গরম আলুর চপে পুরে মনোবাঞ্ছা। তিনকড়ি বোস তাঁর বড় প্রিয় মিত্র, ভজনে পূজনে থাকে, মনটা পবিত্র। হঠাৎ গোমড়া মুখো হলেন ত্রোপোস্কি তিনকড়ি কন, আহা মনে বড় রোষ কি? দুঃখ দিয়েছে কেউ, নাকি হল পিত্ত? কেন হে গোমড়া মুখ বিচলিত চিত্ত। বললেন শেষমেশ মাথা টাথা চুলকে, পারিনি বাঙালী হতে মানছি এ ভুলকে। কবিতা লেখাটা ভাই বাঙ্গালীর শর্ত, পারিনি লিখতে তাই রয়ে গেছি পর তো। বলব কি ভরে আছে কবিতায় দিলটা, পেটে আসে মুখে তবু আসে না তো মিলটা। করি কত কসরত, করি কত চেষ্টা ভুলে গেছি ভুখা পেট, গেছি ভুলে তেষ্টা। লিখব করেছি পন ফাটাফাটি কাব্যি, বজরঙ্গবালী আর ভোলগার দিব্যি। তা না হলে ছেড়ে ছুড়ে চলে যাব মস্কো, নাই যদি পারি হতে কবিতা মনস্ক। চোখ দেখি ছলছলে ইভান ত্রোপোস্কির, গালগুলো লাল কেন, নাকে ফোঁস ফোঁস কি? অতনু দত্ত ~ 25/06/2017