ওয়েব ডেস্কঃ আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘূর্ণাবর্তের ফলে এখন বর্ষা বেশ শক্তিশালী এই রাজ্যে। হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, দুটি নিম্নচাপ রেখা একসাথে সক্রিয় হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে ঝাড়খন্ড হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে, অন্যটি বিহারের উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবেই মৌসুমি বায়ু বেশ চাঙা এখন। এই ধরনের অক্ষরেখাগুলি বর্ষার সময় স্বাভাবিক ভাবেই সক্রিয় হয়। এসব কারণেই বুধবারের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণে কলকাতা ও শহরতলিতে আরও বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে, তাই আপাতত দক্ষিণের জেলাগুলিতে বর্ষা সচল থাকবে। উত্তরবঙ্গেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন অধিকর্তা।সোমবার রাত আটটা থেকে যে রাতভর বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তাতে কলকাতা এখন ভেনিস। সোমবার রাতের থেকে টানা বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত এখন জলে ভাসছে। জলে ডুবে গিয়েছে উল্টোডাঙা আন্ডারপাস, দমদম আন্ডারপাস, কাঁকুরগাছি আন্ডারপাস, কেশবচন্দ্র স্ট্রিট থেকে এমজি রোড পর্যন্ত আমহার্স্ট স্ট্রিটের একাংশে। গোড়ালি ডোবা জল জমেছে কলুটোলা স্ট্রিট, পাতিপুকুর আন্ডারপাস, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, সেভেন ট্যাংকের কাছে দমদম রোড, রাজা মণীন্দ্র রোড থেকে কলুটোলা স্ট্রিট ক্রসিং পর্যন্ত সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশে। জলমগ্ন হাডকো মোড় থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত সিআইটি রোড, বাগমারী রোড, পার্ক সার্কাস কানেক্টরের একাংশ ও বাইপাসের কাছে গড়িয়া এলাকা। জল জমেছে বেহালার শীলপাড়ার নারায়ণ রায় রোডে। রাসবিহারী, ভবানীপুর, চেতলা এসব স্থানে এখন জল কিছুটা নেমে গেছে। তবে পুরসভার তরফ থেকে জোর কদমে সবকটি পাম্পিং স্টেশন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিন হাওয়া অফিস ৫০মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন।