Home আপডেট ‘‌কয়েকজন আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিল’‌, বিস্ফোরক দাবি জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারকের

‘‌কয়েকজন আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিল’‌, বিস্ফোরক দাবি জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারকের

‘‌কয়েকজন আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিল’‌, বিস্ফোরক দাবি জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারকের

[ad_1]

রেশন দুর্নীতি মামলায় জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে নানা ব্যক্তিকে। এমনকী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ককেও ডাকা হচ্ছে। মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারককে তলব করা হচ্ছে। আজ, শনিবার দুপুরেও ইডির অফিসে হাজির হন মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারক তথা কৃষি দফতরের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী রামস্বরূপ শর্মা। ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। আপ্ত সহায়ক, হিসেবরক্ষক এবং এবার পরিচারক। মন্ত্রীর ইচ্ছাতেই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন বলেই দাবি করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিচারকও।

এদিকে সাদা কাগজে সই করার জেরেই ফ্ল্যাটের জন্য লোনের টাকাও তিনি সাহেব–এর থেকে পেয়েছিলেন বলেই দাবি করলেন ইডি হেফাজতে থাকা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক। আবার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে ঋণ নিয়ে কেষ্টপুর এলাকায় ফ্ল্যাট কিনলেও দেনার ৫ লক্ষ টাকা শোধ করেছেন বলে দাবি রামস্বরূপের। তাঁর কথায়, ‘‌অনেকদিন আগে ‘সাহেব’ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম করে কয়েকজন আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল।’‌ সুতরাং একটা লেনদেন হয়েছিল সেটা স্পষ্ট। এই পরিচারক একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। তাঁর নামে একটি ফ্ল্যাট আছে। তিনি কোম্পানির ডিরেক্টর হলেন কেমন করে? তিনি কি কোথাও সই করেছিলেন?

অন্যদিকে সাংবাদমাধ্যমের পর পর প্রশ্নে তিনি উত্তর দিয়েছেন। এই গোটা বিষয়ে প্রশ্ন করতেই রামস্বরূপ শর্মা অজানা কাগজে সইয়ের কথা বলেন। রামস্বরূপ বলেন, ‘‌কোম্পানির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমার একটি ফ্ল্যাট আছে কেষ্টপুরে। আমি সাহেবের থেকে লকডাউনের আগে ঋণ নিয়ে এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলাম। তার মধ্যে ৫ লাখ টাকা শোধও করেছি।’‌ জ্যোতিপ্রিয়র নিয়ন্ত্রণে থাকা ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন এই রামস্বরূপ। আর তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো কোম্পানির অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি ইডির। আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক দাবি করেছিলেন, মন্ত্রীর কথাতেই ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর পদে তাঁর মা ও স্ত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌এখন আত্মদর্শন ও আত্মশুদ্ধির সময়’‌, কালীপুজোর প্রাক্কালে বাংলায় বার্তা রাজ্যপালের

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সইয়ের বিষয়েও মুখ খুলেছেন পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। তাঁর দাবি, ‘‌হ্যাঁ, সই করেছিলাম। কাগজে সই করেছিলাম। কিন্তু কীসের জন্য তা জানি না। যাঁরা সই করাতে এসেছিলেন, তাঁদেরও চিনি না। সাহেবের নাম করে বলেছিল, আমি সই করে দিয়েছিলাম। এটা অনেক বছর আগের কথা। উল্টোডাঙায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে সই করেছিলাম। বলেছিল, সাহেব পাঠিয়েছে, সই করে দিতে হবে। ইডি ডেকেছিল। ওনারা যা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, সব সত্যিই বলেছি। প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের তথ্য জমা নিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here