Home অফ-বিট কারেন্ট শকের থেকেও মারাত্মক বজ্রপাত! নিমেষে পুড়িয়ে দেয় সব কিছু, কীভাবে তৈরি হয়?

কারেন্ট শকের থেকেও মারাত্মক বজ্রপাত! নিমেষে পুড়িয়ে দেয় সব কিছু, কীভাবে তৈরি হয়?

কারেন্ট শকের থেকেও মারাত্মক বজ্রপাত! নিমেষে পুড়িয়ে দেয় সব কিছু, কীভাবে তৈরি হয়?

[ad_1]

বর্ষা মানেই ঘন ঘন বজ্রপাত। শুনলে বুকটা কেঁপে ওঠে। চোখ ঝলসে যায়। বাড়িতে বা গাছে পড়লেই সর্বনাশ। বাঁচতে পারে না মানুষও। নিমেষে সব শেষ। কারেন্ট শকের থেকেও মারাত্মক। বজ্রপাত এত পাওয়ারফুল কেন? কীভাবে তৈরি হয়? শুধুই কি মেঘের কারসাজি, নাকি অন্য কিছু? আসল কারণটা কি? কোনদিন ভেবে দেখেছেন? জানলে থ বনে যাবেন।

গোটা বিশ্বজুড়ে বজ্রপাত এক্কেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এর এফেক্ট এতটাই মারাত্মক যে মানুষের কাছে।আতঙ্কের মত। মোটামুটি সবাই জানে মেঘের সাথে মেঘের ঘর্ষণে বজ্রপাত হয়। তার ফলেই উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ নেমে আসে মাটিতে। সবথেকে কাছে যা পায় তাতেই আছড়ে পড়ে, আঘাত হানে। নিমেষে পুড়িয়ে দেয় সবকিছু। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, তাপমাত্রা যদি ১ ডিগ্রি বাড়ে তাহলে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়বে প্রায় ৫০ শতাংশ। উঁচু গাছপালা বজ্রপাত আটকায়। কয়েক দশকে বড় বড় কাজ কেটে ফেলায় বজ্রপাতের পরিমাণও বেড়েছে। বজ্রপাতের মূল কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন। পৃথিবীতে প্রত্যেক মিনিটে প্রায় ৮০ লক্ষ বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। বাড়িতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, ফ্যান চালাতে বা লাইট জ্বালাতে, সেই বিদ্যুৎ আর আকাশে বিজলি চমকালে যে বিদ্যুৎ সেটা খুব একটা আলাদা কিছু নয়। কিন্তু এটা সরাসরি পৃথিবীতে নেমে আসায় পরিণামটাও ভয়াবহ। জানলে আশ্চর্য হবেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের ঠিক কোথাও না কোথাও প্রতি সেকেন্ডে বজ্রপাত হচ্ছে প্রায় ৪৪ থেকে ১০০ বার।

মেঘ তো কিভাবে তৈরি হয় জানেনই। জলীয়বাষ্প প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে বরফের আকার ধারণ করে। সেই বরফগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষে তৈরি হয় ইলেকট্রিক চার্চ। যে এলাকা জুড়ে মেঘ থাকে সেই এলাকাটা ওই চার্চে ভরা থাকে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। যখনই মেঘ একটু ভারী হয়ে পৃথিবীর দিকে নেমে আসতে থাকে, তখনই গরম আবহাওয়া নিচের দিক থেকে উল্টো চাপ দেয়। মেঘের উপরে পজিটিভ চার্জ আর নিচে থাকে নেগেটিভ চার্জ। একে অপরের আকর্ষণে মিলিত হলেই তৈরি হয় বিকট শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে আলোর তীব্র ঝলকানি। আরো সহজ করে বললে, ব্যাটারির যেমন ধনাত্মক আর ঋনাত্মক অংশ থাকে তেমনি মেঘেরও দুটো অংশ থাকে। মেঘের শীর্ষ দেশে থাকে ধনাত্মক অংশ, আর নিচের দিকে ঋণাত্মক অংশ। এরা এক হলেই ঘটে বজ্রপাত। শব্দ আর বিদ্যুৎ একই সাথে তৈরি হয় কিন্তু গতির পার্থক্য থাকে। যার কারণে আমরা আলো আগে দেখতে পাই আর শব্দ পরে শুনি। বজ্রপাতের শব্দ ২৫ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়। বজ্রপাতের ফলে আশেপাশের বায়ু প্রায় ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম হয়ে যায়। যা সূর্য পৃষ্ঠ থেকেও প্রায় ৫গুণ বেশি উষ্ণ। ভাবতে পারছেন, এর তাপমাত্রার পরিমাণটা ঠিক কতটা! এই তাপমাত্রায় রক্ত মাংসের মানুষ তো দূর, যে কোন কঠিন বস্তুও পুড়ে ছাই হয়ে যেতে বাধ্য।

বজ্রপাত মোটামুটি তিন ধরনের। প্রথমত প্রথমটা ক্লাউড লাইটেনিং। এক্ষেত্রে মেঘ শুধুমাত্র চার্জ আদান প্রদান করে। সামান্য পরিমাণে ভোল্টেজ তৈরি হয়, কিন্তু কোন আওয়াজ থাকে না। দ্বিতীয়ত, ক্লাউড টু লাইটেনিং। এই ধরনের বজ্রপাতে উপরে থাকে বড় মেঘ, নিচে থাকে ছোট মেঘ। এক্ষেত্রে মোটামুটি আলো এবং শব্দ দুটোই থাকে। আর সব থেকে খারাপ হলেও ক্লাউড টু গ্রাউন্ড লাইটেনিং। এক্ষেত্রে মেঘ অত্যন্ত শক্তিশালী হয়। মেঘের নিচের দিকে জমা হয় ভারী নেগেটিভ চার্জ। খুব সহজেই আলোর স্ফুলিঙ্গ সহ বিকট শব্দ তৈরি হয়।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here