[ad_1]
মাত্র ৩০ সেকেন্ড, চীন-পাকিস্তানের মতো ৬ টা দেশকে ডেস্ট্রয় করবে ভারতের এই বোমা? শত্রুকে পাল্টা হামলার সুযোগ দেবেনা! সত্যিই কি ভারতের মাটিতে লুকোনো আছে বোমার মতো মিসাইল সিস্টেম? কী এমন এলো ফোর্সের হাতে? এবার ভারতের রেঞ্জে গোটা বিশ্ব? দেশের সুরক্ষায় জান লড়িয়ে দিচ্ছে ভারত। কেন এই মিসাইলকে গোটা দুনিয়া থেকে লুকিয়ে রেখেছে ভারত? ক্ষমতা জানলে শঙ্কায় কাঁপবে পৃথিবী। ভারতের মোস্ট সিক্রেট প্ল্যান, কনফিডেন্সিয়াল। দেখতে বোমার মতো, বৈশিষ্ট্য মিসাইলের মতো। যে বোমা নিয়ে চারিদিকে এতো হইচই তার রেঞ্জ সম্পর্কে আপনার কোনো ধারনা নেই। বোমার মতো দেখতে এই মিসাইল এতোটাই ক্ষমতা সম্পন্ন যে পাকিস্তানের যে কোনও এয়ারপোর্ট উড়ে যেতে পারে এক নিমেষে। চীনের সুপারফাস্ট বুলেট ট্রেনও হয়ে যেতে পারে ধূলিস্মাৎ।
এই এতো ক্ষমতা সম্পন্ন মিসাইল তৈরীর টার্গেট একটাই, দেশের সুরক্ষা। জানেন বোমার মতো দেখতে এই মিসাইলকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে ভারত? সুপার উইপন HSLD-Mk2 মিসাইল আছে ভারতের মাটিতে। পুরো নাম হাই স্পিড লো ড্র্যাগ বোমা। মিসাইলটি তৈরি করছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এর আগে সূর্য মিসাইলের কথা বলেছিলাম। সেটাও ভারতের কনফিডেনশিয়াল একটা প্ল্যান। যা নিয়ে ভারত মুখ খোলেনি। আর এবার সামনে এলো এইচএসএলডি এমকে টু মিসাইল। যে মিসাইল হবে ভারতের রক্ষাকবচ। রেঞ্জ ১০ থেকে ৩০ কিমি। ৬০ মিনিটে ১৩১২ কিমি বেগে শত্রুর দিকে ধেয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি HSLD বোমা তৈরি হয়েছে। ওজন অনুযায়ী চারটি ভ্যারিয়েন্ট। ১০০, ২৫০, ৪৫০ এবং ৫০০ কেজি। দৈর্ঘ্য ৭৪.৮০ ইঞ্চি। ওয়ারহেড ওজন ১১০ থেকে ১৭৯ কেজি।
অলরেডি, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স সুখোই Su-30 MKI ফাইটার জেটে Precision Guided High Speed Low Drag Bomb ফাইভ হান্ড্রেড সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের জাগুয়ার এবং সুখোই Su-30MKI ফাইটার প্লেনেও HSLD বোমা ফিট করে দেওয়া হয়েছে। এই বোমাটি ২০১৩ সাল থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সে কাজ করছে। কিন্তু না, এখানেই থেমে থাকছে না ভারত। চীন পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাতে এবার তৈরি করছে মার্ক-৩ ভার্সন। এই মিসাইলের চাহিদা থাকায় এর আধুনিক সংস্করণ তৈরির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এটা ভারতের নেক্সট জেনারেশন এর শর্ট বোমা। যাকে স্বল্প-পরিসরের এয়ার-ড্রপ প্রিসিশন গাইডেড মিশনও বলা হয়। এর এডভান্স ভার্শন আরো বেশি খতরনাক আরো বেশি তেজী।যে মিসাইল সিস্টেমটি বিমান বাহিনীর যেকোনও ফাইটার জেটে বসানো যাবে। যেমন- Mirage-2000, MiG-29, Jaguar, 30 MKI এবং Tejas।উন্নয়নের পর শত্রুদেশকে এই মিসাইল দিয়ে টার্গেট করা আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে।
ভেতরে ভেতরে ভারত কি কোন বড় অপারেশনের ছক উঠছে? অলরেডি ভারতের স্বনির্ভর মিশনের আওতায় এই ধরনের অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর হাতে এই ধরনের মিসাইল এর যেন কোন অভাব না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এই মিসাইল ভারতের জন্য পারফেক্ট, যা শত্রুদেশকে ভারতের রেঞ্জে রাখতে পারে, রাখতে পারে হাতের মুঠোয়। কারণ, ভারতের একদিকে রয়েছে পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত দেশ এবং অন্যদিকে জমি মাফিয়া চীন। এই দুই দেশের মাঝে ভারত সর্বদা নিজের শক্তি বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। দিনে দিনে সেনাদের হাত শক্ত করছে ভারত। আর, ভারতীয় সেনাদের শক্তিবৃদ্ধি করতে ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরাও একের পর এক শক্তিশালী মিসাইল নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করছে যাতে যে কোন প্রতিপক্ষ দেশকে রুখে দিতে সমর্থ হবে ভারত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়