Home আপডেট কোন বদ মতলবে মাঝরাতে ধর্ষিতার বাড়ি গিয়েছিল পুলিশ? প্রশ্ন বিচারপতির

কোন বদ মতলবে মাঝরাতে ধর্ষিতার বাড়ি গিয়েছিল পুলিশ? প্রশ্ন বিচারপতির

কোন বদ মতলবে মাঝরাতে ধর্ষিতার বাড়ি গিয়েছিল পুলিশ? প্রশ্ন বিচারপতির

[ad_1]

মাধরাতে ধর্ষিতার বাড়িতে পুলিশ পাঠানোয় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে ২ থানার ওসি। সঙ্গে ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিল আদালত। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

ধর্ষিতার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল কলকাতার লেক থানা এলাকায়। ধর্ষিতার অভিযোগ, আদালতে তাঁকে সাক্ষ্য দিতে হবে বলে জানিয়ে ২৯ জুন লেক থানা নরেন্দ্রপুর থানাকে ই-মেইল করে। ই-মেইলে জানানো হয়, ৫ জুলাই নির্যাতিতাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু ৪ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে কিছুই জানায়নি নরেন্দ্রপুর থানা। ৪ জুলাই গভীর রাতে থানার এক আধিকারিক হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে ধর্ষিতাকে পরদিন হাজিরা দিতে হবে বলে জানান। এর পর রাত ২টো নাগাদ ধর্ষিতার বাড়িতে হাজির হন ২ পুলিশকর্মী। পরদিন তাঁকে আদালতে হাজির থাকতে হবে বলে জানান তাঁরা।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কেন ধর্ষিতার বাড়িতে মাঝরাতে পুলিশকর্মীরা গিয়েছিলেন তা জানতে চান বিচারপতি বাগচী। এই মামলায় আগেই নরেন্দ্রপুর থানার ওসির কাছে হলফনামা তলব করেছিল আদালত। হলফনামায় নরেন্দ্রপুর থানার ওসি জানান, কম্পিউটার অপারেটর মেইল পাঠাতে ভুলে যাওয়ায় অত রাতে পুলিশকর্মীরা ধর্ষিতার বাড়ি যেতে বাধ্য হয়েছেন।

যদিও এদিন বিচারপতি বাগচী বলেন, এসব কথায় চিঁড়ে ভিজবে না। মাধরাতে ধর্ষিতার বাড়িতে পুলিশ কর্মীরা যেতে পারেন না। কোন বদ মতলবে এই কাজ করেছে পুলিশ? পুলিশের কাজ তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া। তিনি নিরাপত্তার আশঙ্কায় ভোগেন এমন কোনও কাজ করা নয়।

এর পর নরেন্দ্রপুর ও লেক থানার ওসিকে ৭ দিনের মধ্যে নির্যাতিতার কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে নির্যাতিতাকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী?

 

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here