Home অফ-বিট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোন রহস্যের উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা? এ যেন আন্টার্কটিকা

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোন রহস্যের উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা? এ যেন আন্টার্কটিকা

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোন রহস্যের উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা? এ যেন আন্টার্কটিকা

[ad_1]

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কোন অন্ধকারে আলো দেখাল চন্দ্রযান ৩? ইতিহাসে প্রথমবার অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল ভারত। মণি, মুক্ত নাকি সোনা -হীরে কী খুঁজে পেল রোভার প্রজ্ঞান? পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে আন্টার্কটিকা! যেখানে শুধু বরফ আর বরফ চারদিকে চাঁদেও কী জল থেকে পাথর সবই বরফ? এই জায়গায় মাত্র ১৫ দিন সূর্যের আলো থাকে চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে আর কোন রহস্য ফাঁস করলেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা? চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ১৫ দিন সূর্যের আলো থাকে। ১৫ দিন পর আবার অন্ধকার হয়ে যায়। ২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে চন্দ্রযান ৩ নামানোর অন্যতম কারণ এখন চাঁদে সূর্যএর আলো রয়েছে। আর তাতেই এক অজানা রহস্যের উত্তর খুঁজে পেলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

চাঁদের মাটি পরীক্ষার জন্য চেস্ট নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এই যন্ত্র চাঁদের মাটির তাপমাত্রা বার করে কেরামতি দেখাল প্রথমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা জানা গেল। পৃথিবীর থেকে কতটা ফারাক চাঁদের তাপমাত্রার? ইসরোর প্রকাশিত গ্রাফ দেখে বোঝা যাচ্ছে গভীরতা অনুযায়ী চাঁদের মাটির বিভিন্ন স্তরে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। তবে মাটির গভীরে ঢুকলে এই পরিসংখ্যান পালটে যায়। চেস্ট নামের যন্ত্রটি চন্দ্রপৃষ্ঠের অন্তত ১০ সেন্টিমিটার গভীরে যেতে পারে। চাঁদের মাটিতে অন্তত ১০ রকম তাপমাত্রা খতিয়ে দেখছে রোভার প্রজ্ঞানের এই যন্ত্র। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু যেমন চাঁদও তেমনি। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু অ্যান্টার্কটিকা। যাঁকে বলা হয় পৃথিবীর শীতলতম স্থান। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এমনটাই?

আন্টার্কটিকার বরফের চাদরে ঢাকা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অনেক গর্ততে কখনও আলো পড়েনি। বেশিরভাগই ছায়ায় রয়ে গেছে। কয়েক হাজার বছর পরও তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই সেখানে বরফ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। বৈজ্ঞানিকদের দাবি চাঁদের বুকে থাকা জল বা বরফ চাঁদের পৃষ্ঠে অগ্নুৎপাত সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারে। সমুদ্রের উৎপত্তি কোথা থেকে হল তাও জানা যেতে পারে চাঁদের বুকে থাকা জল থেকে। যদি চাঁদে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকে তবে পরবর্তী সময়ে চন্দ্রাভিযানে পানীয় জল নিয়ে আর কোনও সমস্যা থাকবে না মহাকাশচারীদের। ওই জলই আবার ভেঙে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনে পরিণত করা যাবে যা নিশ্বাস নিতে ও জ্বালানিতে সাহায্য করবে।

আগামী দিনে আরও বেশ কিছু তথ্য জানাবে রোভার প্রজ্ঞান, সেটাও ঘোষণা করা হয়েছে ইসরোর তরফে। তবে আলো থাকলে তবেই কাজ করতে পারবে রোভার প্রজ্ঞান। কারণ চাঁদের মাটিতে রাত নামলে প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এর পরিকল্পনাও ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার। কিন্তু সেই সময়ে সফট ল্য়ান্ডিং ব্যর্থ হয়। চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এবার চন্দ্রযান ৩ তা করে দেখিয়েছে। মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণার ইতিহাসে এই প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটির তাপমাত্রা কেমন তার বর্ণনা দিয়েছে। ইসরোকে নিয়ে গর্বে দেশবাসীও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here