[ad_1]
চাঁদের মাটিতে মানুষের মল ভর্তি ৯৬টি ব্যাগ। পৃথিবী শুধু নয়! চাঁদকেও দূষিত করে এসেছে মানুষ। এই ছবি নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। ৫০ বছর ধরে সেসব নোংরা পড়ে রয়েছে একই অবস্থায়। এসব বর্জ্য কে বা কারা ফেলে এসেছিল? ৫০ বছরের সেই বিতর্ক এখনও রয়ে গিয়েছে। চাঁদের বুকে লুকিয়ে থাকা এই রহস্য আপনার অজানা। এই ভাইরাল ছবি দেখেই নেটিজেনরা বলছেন। পৃথিবীকে নোংরা করতে করতে মানুষ চাঁদকেও ছাড়ছে না! সত্যিই কী তাই? চাঁদের বুকে এখনও মানুষের মল কেন পড়ে রয়েছে? চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানুষের ব্যবহার করা বর্জ্য, মলসহ ৯৬টি ব্যাগ চাঁদের পৃষ্ঠে যেহেতু হাওয়া চলাচল করে না। তাই ওই বর্জ্যসহ ব্যাগগুলি ৫০ বছর ধরে একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ।
১৯৬৯ সালে তিন জন মার্কিন মহাকাশচারী সে দিন চাঁদের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। নীল আর্মস্ট্রং, এডুইন অলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্স। চাঁদের মাটিতে পা রেখে বদলে দিয়েছিলেন মানবসভ্যতার ইতিহাস। তারাই কী এই মলভর্তি ব্যাগ ভুল করে চাঁদে ফেলে এসেছিলেন? ৫০ বছরেরও বেশি আগে থেকে এই বিতর্ক আবার ঘুরে ফিরে আসছে। চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং তার পরে নামেন এডুইন অলড্রিন। সব শেষে নামেন পাইলট মাইকেল কলিন্স।
একটি ব্যাগে নমুনা হিসেবে ২১.৫ কিলোগ্রাম চাঁদের মাটি এবং পাথর ভরে ফিরে এসেছিলেন। তিন মহাকাশচারী
শোনা যায় ফেরার সময়ে মহাকাশচারীরা মল ভর্তি সেই ব্যাগগুলি চাঁদেই রেখে আসতে বাধ্য হন। কিন্তু কেন? চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছভাগের এক ভাগ তাই তরল থেকে শুরু করে কঠিন সব কিছুই প্রায় ভাসমান। চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে তাঁদের সময় লেগেছিল ৪ দিন। তাই মল-মূত্র ত্যাগ করা নিয়ে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। বেশির ভাগ সময়েই মহাকাশচারীদের তাই ডায়াপার পরে কাটাতে হয়। ব্যবহার করা সেই সব ব্যাগ চাঁদের মাটিতে তাঁরাই ছুড়ে ফেলেছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়, যা এখনও নাকি একইভাবে পড়ে রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে।
চাঁদের বুকে নেমে পড়েছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। গতি কমিয়ে নামানো হয় ল্যান্ডার বিক্রমকে। আর এই মিশনের মাধ্যমেই বিশ্বের দরবার ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন পালক যোগ হল। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামিয়ে ভারত তৈরি করল ইতিহাস। চাঁদের নামার আগের শেষ কয়েকমিনিটই ছিলঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ফাঁড়া কাটিয়ে সাফল্যের মুখ দেখল চাঁদ মিশন। কিন্তু ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদের মাটি ছুঁতেই আবার ফিরে এল সেই বিতর্ক। যে রহস্যের এখনও কুলকিনারা করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়