Home আপডেট চাল নিয়ে কোনও চালাকি নয়! রাজ্যেকে ‘ধোঁকা’ দিলেই ব্যবস্থা, দেওয়া হল হুঁশিয়ারি

চাল নিয়ে কোনও চালাকি নয়! রাজ্যেকে ‘ধোঁকা’ দিলেই ব্যবস্থা, দেওয়া হল হুঁশিয়ারি

চাল নিয়ে কোনও চালাকি নয়! রাজ্যেকে ‘ধোঁকা’ দিলেই ব্যবস্থা, দেওয়া হল হুঁশিয়ারি

[ad_1]

বহু রাইস মিল সরকারের কাছ থেকে ধান নিয়ে তা থেকে উৎপাদিত চাল রাজ্য সরকারকে দিয়ে থাকে। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে রাইস মিলগুলির বিরুদ্ধে সরকারকে চাল দেরি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে এবার সেই সমস্ত রাইস মিলগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে খাদ্য দফতর। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান থেকে উৎপাদিত চাল রাজ্য সরকারকে না দিলে সেক্ষেত্রে রাইস মিলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী কালো তালিকাভুক্তও করা হতে পারে রাইস মিলগুলিকে। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর।

আরও পড়ুন: ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা নিয়ে কোটি টাকার দুর্নীতি! সিল করে দেওয়া হল রাইস মিল

জানা গিয়েছে, সরকারের কাছে ধান নিয়ে তা থেকে উৎপাদিত চাল সরকারকে দিতে এক মাস দেরি করেছে একাধিক মিল। তাদের খারিফ মরশুমে বেশি পরিমাণে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা দিতে হবে। সাধারণত রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ৫০০ টন ধানের জন্য ২৫ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সরকারের কাছে জমা করতে হয়। কিন্তু, সেক্ষেত্রে এক মাস দেরি হলে সেই ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সমপরিমাণ ধানের ক্ষেত্রে হয়ে যাবে ৩৫ লক্ষ টাকা। 

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর খাদ্য দফতর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাইস মিল গুলিকে ধান থেকে উৎপাদিত চাল জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছু রাইস মিল চাল রাজ্য সরকারকে দিলেও বহু রাইস মিল এখনও চাল রাজ্য সরকারকে জমা দেয়নি বা দিতে দেরি করেছে। ২২টি রাইস মিলের কাছে রাজ্য সরকারের ১৩,৬৩৩ টন চাল পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একাধিক রাইস মিল তা দিতে দেরি করায় এখনও রাজ্য সরকার সেই পরিমাণ চাল পায়নি। এই অবস্থায় অক্টোবরের মধ্যে রাইস মিলগুলি রাজ্য সরকারকে চাল দিলে সেক্ষেত্রে তাদের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বেশি পরিমাণ জমা দিতে হবে  

কিন্তু অক্টোবর মাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি রাইস মিলগুলি চাল জমা দিতে না পারে তাহলে সেক্ষেত্রে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এমনকী আগামী দিনে সরকার তাদেরকে ধান দেবে না বলেও জানা গিয়েছে। যদিও রাইস মিল মালিকদের সংগঠনের বক্তব্য, অক্টোবর মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকার পুরো চাল পেয়ে যাবে। 

প্রসঙ্গত, ২০২২–২৩ খালিফ মরশুম শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। এই গোটা সময় রাজ্য সরকার প্রায় ৫৫ লক্ষ টন ধান কিনে থাকে এবং তা থেকে ৩৬ লক্ষ টন চাল পেয়ে থাকে। এরজন্য মিলগুলিকে ধান দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে চাল না দেওয়ার কারণে কয়েক বছর আগে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ব্যবস্থা চালু করেছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে অবশ্য রাজ্য সরকার চাল পাচ্ছে। 

এর আগে দেখা যেত, বহু রাইস মিলের কাছ থেকে প্রাপ্যচাপ অনেক সময় পেত না রাজ্য সরকার। সেই কারণে রাইস মিল বন্ধ করে দেওয়া হত। তার পাশাপাশি মালিককেউ গ্রেফতার করা হত। কিন্তু সেই সংক্রান্ত মামলা চলত আদালতে। দিনের দিন সে মামলা খরচ বহন করতে হত খাদ্য দফতরকে। এর ফলে আর্থিক ক্ষতি হত। সেই কারণে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ব্যবস্থা চালু করা হয়। 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here