Home আপডেট চা–পাতায় কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ, চাপে পড়ে শুরু সচেতনতা প্রচার

চা–পাতায় কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ, চাপে পড়ে শুরু সচেতনতা প্রচার

চা–পাতায় কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ, চাপে পড়ে শুরু সচেতনতা প্রচার

[ad_1]

সম্প্রতি চা–বাগানে পোকার আবির্ভাব হয়েছে। তার জন্য সেই চা–পাতা নেওয়া বন্ধ করেছে চা উৎপাদন কেন্দ্রগুলি। তাতে চা কৃষকদের রোজগারে টান পড়েছিল। এবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসে সেটা জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই ব্যবস্থা নেন। তাতে অনেকটা লাভ হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র এই চা–বাগানে ক্ষতিকারক পোকামাকড় মারতে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কীটনাশকের প্রভাব চা–পাতায় পড়ছে। তার জেরে ক্যানসার–সহ নানা মারণ রোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাই টি বোর্ডের নির্দেশ মেনে জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা কৃষক সমিতি ওই কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। আর নিরাপদ চা উৎপাদনের প্রচার শুরু করেছে।

এই কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বলেও জানা গিয়েছে। এই কীটনাশক অত্যন্ত অপকারী স্বাস্থ্যের পক্ষে। আর উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রায় ৪০ হাজার ছোট চা বাগান আছে। এইসব বাগানের থেকেই কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন–জীবিকা চলছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট চা–বাগানের কৃষকরা নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কীটনাশকের প্রভাব চায়ের মধ্যে পড়ে। তাতে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। অর্থাৎ চায়ের মধ্যে দিয়ে মানুষের শরীরে বিষ মিশে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই টি বোর্ড নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ মহাবারুণী স্নান উৎসব শুরু হয়েছে বাংলাদেশে, মতুয়াদের স্নানোৎসবে মানুষের ঢল

চা পাতা যখন মেশিনের মধ্যে যায় এবং তা থেকে চা তৈরি করার পর প্যাকেটে চলে যায় তখনও ওই কীটনাশকের প্রভাব থেকে যায়। যার ফলে চা বানিয়ে খেলে তা শরীরে গিয়ে মেশে এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এই তথ্য জানতে পেরে টি বোর্ড কড়া নির্দেশ দেয়। তাতে চাপে পড়ে যায় কৃষকরা। বটলিফ কারখানাও চাপ তৈরি করে। নিষিদ্ধ কীটনাশক তাই ব্যবহার বন্ধ করতে সচেতনতা প্রচারে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি। এই নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্দেশ্যে আলোচনা সভা করা হচ্ছে। সেই আলোচনা সভায় কৃষকদের বোঝানো হচ্ছে, কীটনাশক ব্যবহার করলে কেমন ক্ষতি হতে পারে। তাতে অনেকটা লাভ হয়েছে বলে খবর।

কিন্তু যে পোকার কথা বলা হচ্ছে তা রেখে দিলে তো চা–পাতার ক্ষতি হবে। আর চা পাতার ক্ষতি হলে তা কেউ কিনবে না। ফলে সেই রোজগারে টান পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নেওয়ায় টি বোর্ড এবং প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। এই বিষয়ে সমিতির জেলা সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘চা গোটা বিশ্বের মানুষ পান করেন। সকলের জন্য নিরাপদ চা তৈরি করতে আমরা চাই। তাই চা চাষিদের নিয়ে আমাদের সচেতনতামূলক কর্মশালা শুরু হয়েছে। রাজ্য কৃষি দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক হবে।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here