[ad_1]
চীনের টাইম আউট ভারতের বাঘ মোদী ফ্রান্স থেকে ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ। বেজিংকে কূটকৌশলে মোক্ষম খোঁচাটা দিলেন নমো। সঠিক জায়গায় সঠিক আঘাত। এবার মোদীর সফরে ইতিহাস তৈরি হল ফ্রান্সে কীভাবে? ভারতকে দেখে ফ্রান্স শিখছে প্রমাণ পাওয়া গেল হাতেনাতে। মোদীকে নিয়ে গর্জ প্রবাসীদের (অ্যাম্বিয়েন্স)। ফ্রান্সের মাটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেখছেন শি জিনপিংও এতটা ফেমাস নন ফ্রান্সে বড় সুযোগ ছিল এবারই পুরোপুরি কাজে লাগালেন নমো। মোদীর কোন মন্তব্যে এত ঘাবড়ে গেল বেজিং? প্যারিসে বসে ফ্রান্সের সো কলড মিত্র চীনকে কার্যত তুলোধনা। অনেকেই বলছেন এতটা ভাবতে পারা যায়নি।
মোদীর মন্তব্যে ফ্রান্সের মিডিয়ায় রীতিমত হইচই সাহসটা দেখিয়েই দিল ভারত৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ফ্রান্সেও রীতিমত গ্র্যান্ড ওয়েলকাম। বিমানবন্দরে লাল গালিচায় নমোকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নের। তারপর কবিতার দেশ সাহিত্যের দেশে মোদীকে দেওয়া হল ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ‘লিজিয়ন অফ অনার’। জেনে রাখুন নরেন্দ্র মোদীর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন। তারপরই শুরু হয় খেলা৷ মিত্র চীনকে ডিফেন্ড করে কিন্তু কোনও কথাই বলতে পারেননি ম্যাঁক্রো৷ ফ্রান্সে পা রাখার আগে থেকেই ঝড় উঠেছিল চীনকে ঘিরে। মোদীর ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তটস্থ শি জিনপিং।
কোথাও কোনও যুদ্ধের কথা বা হুঁশিয়ারি দেননি নমো, তবে প্রশ্ন তোলেন চীনের একপেশে ষড়যন্ত্র নিয়ে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারত স্থায়ী সদস্যপদ পায়নি কেন পায়নি। কারণ তার নেপথ্যে রয়েছে একমাত্র চীন। মোদী প্রশ্ন তুললেন কেন বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের দেশ হয়েও এখনও স্থায়ী সদস্যপদ পেল না রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে? ২০১৯ সাল থেকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত স্থায়ী সদস্য পদের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছে। সেখানে একমাত্র চিন ছাড়া বাকি সব দেশই সম্মতি দিয়েছে। মোদী আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে দিলেন এবার এই প্রসঙ্গই। মোদী বুঝিয়ে দিলেন চীনের সময় শেষ এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে নেতৃত্ব দেবে একমাত্র ভারতই। ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশ শিখল ভারতের থেকে। ভারতের পথ ধরে সিঙ্গাপুরে প্রথম চালু হয়েছিল ইউপিআই ব্যবস্থা। এবার ইউপিআই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ফ্রান্স। মোদী করে দিলেন বড়সড় ঘোষণা। কূটনৈতিক মহলের দাবি, মোদীর এবারের ফ্রান্স সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জিওপলিটিক্সের জন্য। আর এর আসল গুরুত্ব বোঝা যাবে সঠিক সময় এলেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়