চিনের ভিতর ঢুকে পড়ল ভারত রাশিয়ার সাহায্যে! মোদীর বন্ধুত্ব পেতে ভ্লাদিমীর পুতিন বড়সড় রিস্ক নিতে রাজী। ভারতের একটা স্টেপ মস্কোর ওপর চটে যেতে পারে বেজিং। দিল্লি-মস্কো হাতে হাত মিলিয়ে অজুবা তৈরি করছে জিনপিং তটস্থ। মোদী আমেরিকা সফর করে আসার পরও পুতিনের মুখে ভারতের প্রশংসা। যেটা হওয়ার কথা ছিল না সেটাই হচ্ছে এবার। একটা কাজ তার তিনটে ফল আসবে হাতেনাতে। জেনে রাখুন কিছুদিনের মধ্যেই একটা খবর হবে পুতিন-শি জিনপিংয়েরর বন্ধুত্ব এবার চরম রিস্কের মুখে। তবুও ভারতের হাত ছাড়তে রাজি নন ভ্লাদিমীর পুতিন। রাশিয়ার যে শহরের দিকে ছিল চীনের নজর সেটাই ছিনিয়ে নিচ্ছে ভারত।
কি মনে হয় আপনাদের চীন কি চুপচাপ সহ্য করবে রাশিয়ার এই দাদাগিরি? রাশিয়া যেচে সাহায্য করছে ভারতকে৷ ব্যাপারটা কি? কোন রহস্য ঘনাচ্ছে? ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে ভ্লাদিভস্তক শহরের কথা শুনেছেন? তৈরি হতে চলেছে ভারতের চেন্নাই টু ভ্লাদিভস্তক মেরিটাইম রুট এর মানে কি? এতে ভারত-রাশিয়ার কী লাভ ও চীনের কীভাবে মোক্ষম ক্ষতি জানাবো আপনাদের তার আগে দেখুন রাশিয়ার মহান বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমনটা আবারও বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমীর পুতিন। শুধু তাই নয় এবার ভারতের আইডিয়া নকল করে রাশিয়ার উন্নয়ন চান পুতিন।
ভাবতে পারছেন আমাদের দেশ আজ কোন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে বিশ্বের এত বড় শক্তি রাশিয়া। নিজেদের উন্নতির জন্য ভারতকে অনুসরণ করছে। ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়ার আদলে এবার ‘আত্মনির্ভর রাশিয়া’ গড়ার ডাক দেন পুতিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর মানে রাশিয়ার চিরশত্রু আমেরিকায় মোদীর সফরের কোনও নেগেটিভ এফেক্টই তাহলে মস্কোর ওপর পড়ল না। রাশিয়া উপকূলবর্তী বন্দরগুলোর মধ্যে সবথেকে বড় বন্দর ভ্লাদিভস্তক। আগেই শোনা গেছিল এই অঞ্চলে নিজেদের দখল বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে চীন। কারণ ভ্লাদিভস্তক চিন ও উত্তর কোরিয়ার খুব কাছাকাছি একটা এলাকা। তাই, রাশিয়া চাইছে তাদের পূর্বাংশে এই এলাকায় ভারত নিজেদের অস্তিত্ব বাড়িয়ে তুলুক। প্রথম কথা ভ্লাদিভস্তককে ভারত একটি স্যাটেলাইট শহর তৈরি করার প্ল্যানিং করছে। দ্বিতীয়ত এবার চেন্নাই থেকে যে রুট তৈরি হবে সেটা খেলা ঘুরিয়ে দেবে।
কেন তৈরি হচ্ছে এই রুট?
মস্কো থেকে ভারতে জ্বালানি তেল, এলএনজি বা কয়লা পৌঁছতে সুয়েজ খাল হয়ে সময় লাগে ৪০ দিন। চেন্নাই টু ভ্লাদিভোস্টক প্রস্তাবিত সমুদ্র পথ তৈরি হলে ১২ দিনে ভারত থেকে রাশিয়া পৌঁছবে বাণিজ্য জাহাজ। আর এর হাত ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে বাড়বে ভারতের প্রভাব। কারণ এই রুট চেন্নাই থেকে বে অব বেঙ্গল, মালাক্কা প্রণালী, দক্ষিণ চীন সাগর, জাপান সাগর হয়ে তারপর পৌঁছে যাবে ভ্লাদিভোস্তক বন্দরে। একটু গভীরে ঢুকলে বোঝা যায় এই পরিকল্পনা কিন্তু মোদী-পুতিনের আজকের নয়। ২০১৯ সেপ্টেম্বর মোদী-পুতিনের মিটিং আলোচনা ও মউ স্বাক্ষর হয়। ৫৬৪৭ নটিক্যাল মাইল এই পথে আমদানি-রপ্তানির খরচ কমবে ৩০ শতাংশ। আর ভারতের কৌশলগত অবস্থানে এভাবেই মাস্টারস্ট্রোক দেবেন মোদী।
রাশিয়ার পূর্বাংশে থাকা ভ্লাদিভস্তক শহর জ্বালানির ভান্ডার বলতে পারেন। ভারত সেই পূর্বাংশেই অ্যাক্সেস পাবে। এই এলাকায় ১৫ বিলিয়নের ওপর ইনভেস্টমেন্ট করে রেখেছে ভারত। সেখানেই এবার চরম মজবুত হবে কানেক্টিভিটি। আর চীন? তারা কি শুধু দেখবে আর জ্বলবে? সেই চীন পরম বন্ধু রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টককে নিজেদের বলে দাবি করে কেন? কয়েক বছর আগে থেকেই রাশিয়ার এই শহরকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। সেই সময় বিষয়টাকে বিশেষ আমল দেয় নি মস্কো কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এই মুহূর্তে মস্কোর জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক আইন না মেনে দক্ষিণ চিন সাগরের একাধিক ছোট বড় দ্বীপ দখল এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। সেখানে রাশিয়া নিশ্চিত একটা সময় এদিকেও থাবা দেওয়ার চেষ্টা করবে বেজিং তাই আগে থেকে ভারতকে ভিতরে ঢোকার সুযোগ দিল রাশিয়া। যাতে চীন কোনওদিনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেলে দিল্লি যাতে পুতিনের পাশেই থাকে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়