Home আপডেট চোরকে গ্রেফতার করে জেরা পুলিশের, এমএ পাশ–আইনের ডিগ্রির কথা শুনে স্তম্ভিত তদন্তকারীরা

চোরকে গ্রেফতার করে জেরা পুলিশের, এমএ পাশ–আইনের ডিগ্রির কথা শুনে স্তম্ভিত তদন্তকারীরা

চোরকে গ্রেফতার করে জেরা পুলিশের, এমএ পাশ–আইনের ডিগ্রির কথা শুনে স্তম্ভিত তদন্তকারীরা

[ad_1]

ফ্ল্যাট খালি থাকায় সেটা নজরে পড়ে এক চোরের। সেখানে রেইকি করে তারপর তালা ভেঙে চুরি করে সে। তবে এই চোর কিন্তু যে সে চোর নয়। বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধ এলাকায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটে। যার তদন্তে নেমে পুলিশের চোখ কপালে উঠেছে। কারণ পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার মেচেদা থেকে ওই চোর যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের। গ্রেফতার হওয়া ওই যুবক চোরের যোগ্যতা ইংরেজিতে এমএ। তাছাড়া আইনের ডিগ্রিও রয়েছে। এটাই ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে চারদিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে ওই যুবকের।

এদিকে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধ এলাকার এক শিক্ষিকার ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে চুরি করার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষিকা থানায় অভিযোগ করেন, নগদ টাকা–সহ গয়না এবং মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে গিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আবাসনের সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা করে পুলিশ। সেখানে এক যুবককে দেখে শনাক্ত করে পুলিশ। তারপর তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় হানা দিয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সৌমাল্য চৌধুরী (‌৩৫)‌ নামে চোর যুবককে।

অন্যদিকে ওই চোর যুবককে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া সদর থানায় এনে জেরা–পর্ব শুরু হয়। তখনই সামনে আসে ওই চোর যুবকের শিক্ষাগত যোগ্যতা। যা শুনে বাকরুদ্ধ পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া সৌমাল্যের বাবা সরকারি কর্মী ছিলেন। প্রয়াত মা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। হুগলি জেলায় বাড়ি। কিন্তু বাবা–মায়ের কর্মসূত্রে সৌমাল্য বেড়ে ওঠে আসানসোলে। পড়াশোনাও সেখানে। লেখাপড়ায় খুব ভাল। পরীক্ষা দিয়ে সৌমাল্য রেলে চাকরিও পেয়েছিল। কয়েক বছর আদ্রা ডিভিশনে চাকরিও করে সে। কিন্তু যুবকের মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। চাকরি ছাড়ার পর চুরিবিদ্যা রপ্ত করে সে। ধৃত সৌমাল্য সম্ভবত ‘ক্লেপটোম্যানিয়া’ নামের একটি মানসিক রোগে আক্রান্ত।

আরও পড়ুন:‌ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা অভিষেকের, শুনতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ইংরেজিতে এমএ পাশ, আইনের ডিগ্রি, রেলে চাকরি—সবই পেয়েছিল যুবক সৌমাল্য চৌধুরী। কিন্তু মানসিক সমস্যায় আজ এই শিক্ষিত যুবক চোরে পরিণত হয়েছে। এই বিষয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘বাড়িতে অর্থসঙ্কট ছিল না। কিন্তু চুরি করা সৌমাল্য অভ্যাসে পরিণত করেছিল। সুযোগ পেলেই সে চুরি করত। একাধিক জায়গায় তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আছে। আগেও গ্রেফতার হয়েছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। এই চুরির ঘটনায় ওই যুবকের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত ছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here