[ad_1]
এবার জার্নাল কাণ্ডে দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৫–১৬ অর্থবর্ষে দুই সংস্থাকে অগ্রিম বাবদ ৫৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কে বা কারা দিয়েছিল? এই প্রশ্নের এখন উত্তর খুঁজছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ পেতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হল। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ৫৭ লাখ টাকা উদ্ধার করার চেষ্ঠা করছিলেন। তিনি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিলেন। তবে হঠাৎই তাঁকে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে চলে আসতে হয়েছে। ফলে তদন্ত থেমে যায়। এখন আবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপনবাবু নতুন করে ফাইলপত্র ঘেঁটে ওই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এখানে টাকা নয়ছয়ের একটা অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘টাকা উদ্ধারের জন্য আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ওই দুই সংস্থাকে টাকা কারা দিয়েছিল? সেটা জানতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এতগুলো টাকা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে চলে গেলে তো বিপুল ক্ষতি। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ওই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বলেছি।’
কীসের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ? দুটি সংস্থার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নাল দেওয়ার কথা দিয়ে টাকা নিয়েছিল। কিন্তু জার্নালও মেলেনি। টাকাও গায়েব। তবে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রথীনবাবু বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছি। তাই ওখানের অনেক কিছুই আমার জানা। জার্নাল দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা এভাবে কোনও সংস্থা গায়েব করে দেবে সেটা মানা যায় না। ওই টাকা তহবিলে থাকলে অনেক উন্নতি করা যেত। ওই টাকা উদ্ধারে আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু বদলি হতে হয়েছে আমাকে। এখন যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি উদ্যোগী হয়েছেন শুনেছি।’
আরও পড়ুন: প্রতিপদের দিন–রাতেও অব্যাহত রইল মহালয়ার ট্রেন্ড, ব্যাপক মানুষের ঢল শহরে
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০১৫–১৬ অর্থবর্ষে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গ্রন্থাগারের জন্য জার্নাল কিনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই সংস্থাকে ৫৭ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেয়। কিন্তু সেই জার্নাল দেয়নি দুটি সংস্থা। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকাও ফেরায়নি। ৮ বছর কেটে গেল। ওই দুই সংস্থা এখন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না বলেই সূত্রের খবর। ওই টাকা লেনদেনে কারা জড়িত? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বড় অঙ্কের টাকা লেনদেনে কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারি রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তারপরই চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে।