Home আপডেট ট্রাফিক জরিমানার টাকা তছরুপের অভিযোগ, চাকরি গেল কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবলের

ট্রাফিক জরিমানার টাকা তছরুপের অভিযোগ, চাকরি গেল কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবলের

ট্রাফিক জরিমানার টাকা তছরুপের অভিযোগ, চাকরি গেল কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবলের

[ad_1]

ট্রাফিক জরিমানার টাকা নিজেদের পকেটে পুড়ে ফেলেছিল কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবল বলে অভিযোগ। সুতরাং হিসাব মেলাতে গিয়ে গড়মিল দেখতে পান পুলিশ কর্তারা। তখন তদন্ত শুরু হয় এই ঘটনার। আর তারপর তদন্তে গোটা ঘটনা সামনে চলে আসে। তখন টাকা তছরুপের অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবল। এই ঘটনা চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় পুলিশ মহলে। এই দুই কনস্টেবল পরিকল্পনা করেই জরিমানার টাকা তছরুপ করেছিলেন বলেও অভিযোগ।

এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তারা দেখেন, ওই দুই কনস্টেবল ২২ লক্ষ টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন। তারপর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। সেখানে এই অপরাধ প্রমাণিত হয়। তখন কনস্টেবল রাজীব রায় এবং শুভঙ্কর দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। লালবাজার সূত্রে খবর, রাজীব রায় টালিগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। আর শুভঙ্কর দেব ছিলেন ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত। এই দুই কনস্টেবলকেই পুলিশের সমস্ত সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডেপুটি কমিশনারের অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা রোজ জরিমানার টাকা জমা করেন সংশ্লিষ্ট গার্ডে। সেই টাকা পরে চলে যায় ট্রেজারিতে। গোটা বিষয়টি যাচাই করেন সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক গার্ডের ওসি।

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই কনস্টেবল জরিমানার টাকা জমা দিচ্ছিলেন না। তাঁরা হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পোস্টিং ছিলেন। তাঁদের কাছে জরিমানার টাকা জমা করতেন সার্জেন্টরা। ওই টাকা ট্রেজারিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শুরু করে লালবাজার। তখনই ধরা পড়ে যায়, তিন বছরে ২২ লক্ষ জমা না দিয়ে পকেটে ভরেছে তাঁরা। কিন্তু ওই দুই কনস্টেবল খাতায়কলমে দেখিয়েছে টাকা জমা পড়েছে। তার জন্য জমা দেওয়ার ভুয়ো নথি তৈরি করেছেন। প্রথমে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়।

আরও পড়ুন:‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে খুনের হুমকি দিলেন অধ্যাপক, দায়ের অভিযোগ

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ বিভাগীয় তদন্তে দুই কনস্টেবলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই স্বীকার করেন তাঁরা এই আর্থিক নয়ছয়ের কথা। জরিমানা বাবদ পাওয়া ৬ লক্ষ টাকা তাঁরা ফেরত দেন। তা থেকেই প্রমাণ হয় যে, তাঁরা টাকা পকেটে ভরেছিলেন। এরপর প্রভাব খাটিয়ে রাজীব রায় থানায় পোস্টিং নেন। বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণ হয়, পুরো টাকাই এই দু’জন আত্মসাৎ করেছেন। অবশেষে দু’জনকেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। আর সেই কথা কলকাতা পুলিশের গেজেটে প্রকাশ করা হয়।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here