[ad_1]
কাল ৮ সেপ্টেম্বর। বিকাশ ভবনে ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ডেকে পাঠিয়েছে শিক্ষাদফতর। আর্থিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতে পারে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সেই বৈঠকের আগে পদত্যাগ করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নূপুর দাস।
সূত্রের খবর, রাজভবন শিক্ষা দফতরের ডাকা বৈঠকে হাজির হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করেছিল রেজিস্ট্রারকে। তারপরই এনিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। এদিকে ওই রেজিস্ট্রার নিজেও ওই মিটিংয়ে যেতে চাননি বলে দাবি করা হচ্ছে। তারপরই তিনি ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন বলে খবর।
এদিকে কালকের বৈঠকে কতজন রেজিস্ট্রার উপস্থিত থাকবেন তা নিয়েও নজর রয়েছে অনেকের। তবে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্য়ে যে সংঘাত দেখা দিয়েছে তার ছায়া পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেও। মূলত কোন দিকে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাধিকারীরা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এসবের জেরেই ক্রমেই স্নায়ুর চাপ বাড়ছে।
একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। আবার রাজ্যপাল বলছেন লড়াই লড়ে যাব। আর দুপক্ষের লড়াইয়ের মাঝে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সূত্রের খবর নূপুর দাসের মেয়াদ ছিল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরেই রেজিস্ট্রার পদটি ফাঁকাই ছিল। তার মধ্য়েই এল এই টানাপোড়েন। এরপরই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইস্তফাপত্র জমা দিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বার্তা দেওয়া হয়েছিল ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নূপুর দাসের কাছে। রাজ্যপালের কাছ থেকে বার্তা এসেছিল যাতে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার সেই মিটিংয়ে না যান। সেই বার্তাই রেজিস্ট্রারকে পৌঁছে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মনে করা হচ্ছে তারপরই এনিয়ে চাপে পড়ে যান তিনি। আসলে শ্যাম রাখি না কূল রাখি এই অবস্থা হচ্ছে অনেকেরই। কার কথা তাঁরা শুনবেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না।
একদিকে খোদ আচার্যের নির্দেশ। সেই নির্দেশ অমান্য করা উচিত নয়। আবার অন্যদিকে উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশও তাঁরা অমান্য করতে পারেন না। কারণ এটা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সেক্ষেত্রে উভয়ের মত- বিরোধের জাঁতাকলে পড়ে কার্যত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ হয়তো ছিল না উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের।