Home আপডেট তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার আগে PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী

তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার আগে PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী

তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার আগে PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী

[ad_1]

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তিনি। এর পর তাঁকেই খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক বলে দাবি করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসান বিধানসভার স্পিকার। সেই কৃষ্ণ কল্যাণীই এবার রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী। মুখ লুকানোর আর কোনও জায়গা না পেয়ে অবশেষে তাঁকে PAC চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করাল তৃণমূল। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারকে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। এর ফলে ফের ফাঁকা হল PACর চেয়ারম্যান পদ।

আরও পড়ুন: পার্থ–জ্যোতিপ্রিয়কে আবির মাখাতে গেলেন বন্দিরা, খেপে ফায়ার প্রাক্তন দুই মন্ত্রী

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। এর পাঁচ মাসের মাথায় অক্টোবরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। মুকুল রায় PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিলে কৃষ্ণ কল্যাণীকে খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক বলে দেখিয়ে ২০২২ সালের ২ জুলাই PACর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেন স্পিকার। তার পর থেকে ওই পদে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে গত বছর কৃষ্ণ কল্যাণীর রায়গঞ্জের বাড়ি ও কারখানাসহ একাধিক ঠিকানায় আয়কর হানা হয়। তবে তার পর আর তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি আধিকারিকরা।

গত ১০ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তাতে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় কৃষ্ণ কল্যাণীকে। এর পর তাঁকে আর তৃণমূল বিধায়ক বলে মেনে নেওয়া ছাড়া স্পিকারের সামনে কোনও উপায় ছিল না। নিজেকে ও বিধানসভার স্পিকারকে সেই অস্বস্তি থেকে বাঁচাতে বুধবার PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন তিনি।

এর পর কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘আমি ২ এপ্রিল মনোনয়ন পেশ করব। তার আগে সমস্ত পদে ইস্তফা দিলাম। আমার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে দেবশ্রী চৌধুরী চক্রান্ত করেছিলেন। তার পরেও আমি জিতেছি। উনি চক্রান্ত করেছিলেন বলেই রায়গঞ্জ থেকে আর ভোটে লড়তে পারছেন না।’

আরও পড়ুন: CM-র উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ছক, গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের ছেলে

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষ্ণ কল্যাণী একজন শিল্পপতি। ২০২১ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে ধরে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। ভোটে জিতেও যান। কিন্তু তাঁর আসল লক্ষ্য নিজের ব্যবসার প্রসার। জলে থেকে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করার কোনও ইচ্ছা নেই তাঁর। ভোট মিটতেই তৃণমূলে ফেরেন তিনি।

আসন্ন নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষে জয় ছিনিয়ে নেওয়া বেশ কষ্টকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গে একটিও আসন জিততে পারেনি তৃণমূল। এবার তারা সেখানে কোনও আসন জিততে পারলে সেটাই বড় চমক হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রথা মেনে PACর চেয়ারম্যান পদটি পান প্রধান বিরোধী দলের কোনও বিধায়ক।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here