Home আপডেট সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলে দম্পতির মধ্যে, স্ত্রীকে নিজেই খুন করেছিলেন চিকিৎসক!‌

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলে দম্পতির মধ্যে, স্ত্রীকে নিজেই খুন করেছিলেন চিকিৎসক!‌

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলে দম্পতির মধ্যে, স্ত্রীকে নিজেই খুন করেছিলেন চিকিৎসক!‌

[ad_1]

বাড়ির দোতলায় উঠে চমকে যান পরিচারিকা। কারণ গোটা ঘর রক্তাক্ত। চেয়ারে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত বাড়ির বৃদ্ধ। আর শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বৃদ্ধা। জি সি ব্লকের ৩০ নম্বর বাড়ির দোতলায় হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সুইসাইড নোট থেকে অনেক তথ্য মিলেছে। পরিচারিকা যখন দেখেন এই অবস্থা তখনও তাজা রক্ত বেরচ্ছিল দু’‌জনের শরীর থেকে। এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ চিকিৎসক। চিকিৎসকের স্ত্রীর দেহের পাশেই মিলেছে রক্তমাখা ছুরি। যে ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

এদিকে রোজ সকালে ওই দম্পতি দোতলায় ওঠার দরজা খুলে রাখেন পরিচারিকা আসার জন্য। আবার দোতলায় গ্রিলের দরজাও খুলে দেন। আজ, বুধবার সকালে সেই খোলা দরজা দিয়ে উপরে উঠতেই ওই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পান পরিচারিকা। পরে তিনি নীচে গিয়ে চিৎকার করলে আবর্জনা তুলতে আসা ব্যক্তি এবং পাশের বাড়ির বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরাও একই দৃশ্য দেখে পুলিশে খবর দেন। খুনের নেপথ্যে কে? কারণ কী? সেটা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সল্টলেকে তিন নম্বর সেক্টরের জিসি ব্লকের বাসিন্দা যদুনাথ মিত্র এবং তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্র। বুধবার সকালে মন্দিরা দেবীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে যদুনাথ বাবুকেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সল্টলেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার স্বামী–স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ, হাড়হিম হত্যাকাণ্ডে আলোড়ন

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ডাইনিং টেবিলে পড়েছিল রক্তমাখা ছুরি, টেবিলের নীচে ছিল আর একটা ছুরি। আর তৃতীয় ছুরি মেলে বৃদ্ধের পায়ের কাছ থেকে। সঙ্গে টেবিলের উপর রাখা ছিল সুইসাইড নোট। সেখানে প্রথমে চার লাইন বাংলায় লেখা। ওই বৃদ্ধ চিকিৎসক লেখেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন। তারপর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সুইসাইড নোটের দ্বিতীয় পর্যায়ে পারিবারিক কিছু কথা লেখা আছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বৃদ্ধ তাঁর গাড়ি বিক্রি করেছিলেন। যেহেতু সেটা কাজে লাগছিল না। হঠাৎ পুরনো ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের চিঠি আসে। কিন্তু তখন তিনি গাড়ি বিক্রির প্রয়োজনীয় নথি বের করে প্রমাণ করতে পারেননি। তাতে তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে তাঁকে বকাঝকা করেন।

আরও পড়ুন: সচিনের ছবি ব্যবহার করেছেন ইউসুফ পাঠান, নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল কংগ্রেস

এছাড়া আর একটি পারিবারিক অশান্তি হয়। নিউটাউনে বৃদ্ধের একটি জমি ছিল। যা বিক্রি করে এক কোটি টাকা পান তিনি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে তাঁকে এই ঘটনা নিয়েও বকাবকি করেন। আর একটু অপেক্ষা করলে কোন ক্ষতিটা হতো?‌ প্রশ্ন তোলেন বৃদ্ধের স্ত্রী এবং মেয়ে। নতুন অর্থবর্ষে জমি বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বৃদ্ধ। সেখান থেকেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃদ্ধ দম্পতির দুই মেয়ে। একজন সিঙ্গাপুর থাকেন, আর ছোট মেয়ে থাকেন নিউটাউনে। মৃতদেহের কাছ থেকে একটি অ্যাসিডের বোতল পেয়েছে পুলিশ। বৃদ্ধের মুখে অ্যাসিডের ক্ষত আছে। প্রথমে স্ত্রীকে খুন করেন। তারপর নিজে অ্যাসিড খেয়ে ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রতিবেশীরা জানান, গত সন্ধ্যায় দম্পতির মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়ার শব্দ শোনা গিয়েছিল।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here