Home আপডেট তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকলেন সুব্রত বক্সি, রাজ্য সভাপতি পদ থেকে কি সরবেন?‌

তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকলেন সুব্রত বক্সি, রাজ্য সভাপতি পদ থেকে কি সরবেন?‌

তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকলেন সুব্রত বক্সি, রাজ্য সভাপতি পদ থেকে কি সরবেন?‌

[ad_1]

নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের দুই শিবির। আর সেটা প্রকাশ্যে এসেছিল দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন। এবার এই আবহে আজ, মঙ্গলবার দলের অন্দরের ক্ষোভ মেটাতে স্বয়ং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ডেকে পাঠালেন বিক্ষুব্ধদের। আর তাঁদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। আজ তৃণমূল ভবনে ডাক পড়েছে জেলা নেতৃত্বের। মেদিনীপুর শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি–সহ বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদেরও ডাকা হয়েছে তৃণমূল ভবনে বলে জানা যাচ্ছে। আবার আগে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথার জের দেখিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে সরে দাঁড়ান সুব্রত বক্সি। এবার বারবার দলের অন্দরে বিদ্রোহের মুখে পড়ে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে বিদায় নিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বক্সিদা’। তবে সেটা লোকসভা নির্বাচনের আগে হবে, না পরে হবে সেটা স্পষ্ট নয়।

এদিকে মেদিনীপুর পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসেরই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বসেন দলের ১০ জন কাউন্সিলর। তাঁদের অভিযোগ, মেদিনীপুর পুরসভায় পুরপ্রধান স্বেচ্ছাচারিতা আমদানি করেছেন। যেভাবে কাজ করছেন তার প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তাই অবস্থান আন্দোলনে বসেন তাঁরা। পুরপ্রধানের পদত্যাগের দাবি তোলেন তাঁরা। সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব। তার মধ্যেই দলের অন্দরে নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই আবহে এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত একটানা ঘাসফুলের রাজ্য সভাপতি পদে আছেন সুব্রত বক্সি। এবার নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে এসে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে শনিবার নৈহাটিতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি অর্জুন–শ্যামের দ্বন্দ্ব মেটাতে বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে সোমনাথ শ্যাম আসেননি। আবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যে বক্তব্য রাখেন সুব্রত বক্সি তার কড়া সমালোচনা করে খারিজ করে দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই দুটি ঘটনা পরিষ্কার করে দিচ্ছে বক্সিদার রাশ আর দলের উপর নেই। তা আলগা হয়ে গিয়েছে। সুতরাং তাঁকে সরে যেতে হতে পারে। সূত্রের খবর, এই মেদিনীপুরে আন্দোলন চলার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির ফোন পেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারী তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। আর আজই তাঁরা আসছেন তৃণমূল ভবনে। সেখানে যদি সমাধানসূত্র না বেরিয়ে আসে তাহলে আর একটা ধাক্কা লাগবে।

আরও পড়ুন:‌ বাংলায় ৩–৫টি আসন চায় কংগ্রেস, ২৯০টি আসনে একক লড়াই পরিকল্পনা হাত শিবিরের

এছাড়া কুণাল বলেছেন, নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই মন্তব্যেরও নিশানা সুব্রত বক্সির দিকেই। কারণ, নন্দীগ্রামে নির্বাচনের জন্য সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে চারজনের কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন নেতা বলে পরিচিত কুণাল ঘোষ, সোমনাথ শ্যাম, তাপস রায়–সহ অনেকেই। ইতিমধ্যেই জয়প্রকাশ মজুমদারকে ফোকাস করা হয়েছে। এখন তিনি দলের সহ–সভাপতি। সুব্রত বক্সি সরলে তিনি সুযোগ পেতে পারেন। আজ, মঙ্গলবার সুব্রত বক্সির ডাকা বৈঠকে হাজির থাকার কথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি–সহ জেলা নেতৃত্বের। তবে কোনও কার্যকরি ভূমিকা নিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার। কারণ গত পাঁচ বছরে পাঁচটি জেলায় যেতে দেখা যায়নি সুব্রত বক্সিকে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here