Home ঘুরে আসি দার্জিলিঙে গেলে এ বার থেকে দিতে হবে ‘ট্যুরিস্ট ট্যাক্স’, হোটেল ব্যবসায়ীদের আপত্তি

দার্জিলিঙে গেলে এ বার থেকে দিতে হবে ‘ট্যুরিস্ট ট্যাক্স’, হোটেল ব্যবসায়ীদের আপত্তি

দার্জিলিঙে গেলে এ বার থেকে দিতে হবে ‘ট্যুরিস্ট ট্যাক্স’, হোটেল ব্যবসায়ীদের আপত্তি

[ad_1]

দার্জিলিং: শৈলশহর দার্জিলিং ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে ‘ট্যুরিস্ট ট্যাক্স’ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিল দার্জিলিং পুরসভা। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

সূত্রের খবর, প্রতিদিন প্রতি পর্যটকের কাছ থেকে ২০ টাকা করে কর নেওয়া হবে। পাঁচ বছরের কমবয়সি যারা তাদের জন্য কর দিতে হবে না। এ ব্যাপারে পুরসভার তরফে টেন্ডার ছাড়া হয়েছিল। সেই টেন্ডারে সাড়া দিয়ে এক এজেন্সি এই কর সংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছে। যে এজেন্সিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা করসংগ্রহকারীদের জোগাড় করবে। করসংগ্রহকারীদের পরনে থাকবে ইউনিফর্ম, সঙ্গে থাকবে পরিচিতিপত্র।

এ ব্যাপারে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হবে কবে থেকে এই কর সংগ্রহ শুরু হবে। দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র ঠাকুরি খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, “শীঘ্রই এই কর সংগ্রহ শুরু হবে।”

কেন আপত্তি হোটেল ব্যবসায়ীদের

বিষয়টি নিয়ে আপত্তি রয়েছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। একজন হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, “আমাদের সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ না করেই পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতীতেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ।”

দার্জিলিং পুরসভা এই নিয়ে চার বার পর্যটকদের উপর ‘ট্যুরিস্ট ট্যাক্স’ চাপাল। আর প্রত্যেক বারই কিছু দিন চালানোর পর কর সংগ্রহ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। প্রথমে এই কর চাপানো হয় ২০০৮ সালে। তার পর ২০১১-তে পর্যটকদের উপর প্রতি দিন মাথাপিছু ৩ টাকা করে কর চাপানো হয়। কিছু দিন চালানোর পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আবার ২০১২ সালে প্রতি দিন মাথাপিছু ১০ টাকা করে কর চাপানো হয়।

আগের তিন বার এই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ার কারণ হোটেল ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা। বহু হোটেল ব্যবসায়ী বলেছেন, করসংগ্রহকারীরা তাঁদের ইচ্ছামতো সময়ে আসতেন এবং হোটেল রেজিস্টার দেখতে চাইতেন। সংগ্রহকারীরা বলতেন পর্যটকদের কাছ থেকে কর সংগ্রহ করে রাখতে এবং পরে তা তাঁদের হাতে তুলে দিতে।

অনেক হোটেল ব্যবসায়ী চান নৈনিতাল, গুলমার্গের মতো দার্জিলিং-এও শহরে ঢোকার মুখেই পুরসভা কর সংগ্রহ করে নিক। এক হোটেল ব্যবসায়ী বললেন, “পুরসভা কর সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা চাই হোটেলে ঢোকার আগেই পর্যটকদের কাছ থেকে এই কর যেন সংগ্রহ করে নেওয়া হয়।”

তবে জেলা আধিকারিকরা মনে করেন, দার্জিলিং শহরে ঢোকার মুখে কর সংগ্রহের প্রস্তাবটি অবাস্তব। একজন আধিকারিক বলেন, “গাড়িতে পর্যটকদের চেনা খুব মুশকিল। তা ছাড়া দার্জিলিঙের রাস্তা খুব সরু। সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কর সংগ্রহ করলে বিশাল ট্র্যাফিক জ্যাম হয়ে যাবে। বিশেষ করে, পর্যটনের ভরা মরশুমে এটা একটা বড়ো সমস্যা সৃষ্টি করবে।” জেলা আধিকারিকরা মনে করেন, পর্যটকরা কত দিন দার্জিলিঙে থাকছে তা জানার ভালো জায়গা হল হোটেল।

দার্জিলিঙে শ’চারেক হোটেল রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে বহু হোমস্টে। যে সব পর্যটক হোমস্টেতে উঠবেন তাঁদের ক্ষেত্রে কী করা হবে তা পরিষ্কার নয়। কারণ এ ব্যাপারে পুরসভা যে টেন্ডার ছেড়েছে তাতে শুধু হোটেলেরই কথা বলা হয়েছে। সেখানে হোমস্টের কোনো উল্লেখ নেই। তা ছাড়া যাঁরা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আসবেন তাঁরা সম্ভবত এই কর থেকে ছাড় পেয়ে যাবেন।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে বেসরকারি এজেন্সি এই কর সংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছে তারা হোটেলে হোটেলে ট্যুরিস্ট ট্যাক্স সংগ্রহ করার রশিদ বই দিয়ে আসছে। তবে বহু হোটেল এই রশিদ বই নিতে অস্বীকার করছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here